চালবাহী জাহাজ দিয়েই শুরু পরীক্ষামূলক কার্যক্রম

পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনাল, পণ্য খালাস আজ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

চাল বোঝাই একটি বাল্ক ভ্যাসেল হ্যান্ডলিংয়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বহুল প্রত্যাশার পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের (পিসিটি) পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আজ বুধবার সকালে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত চালবাহী এমসিএল-১৯ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হবে।
কন্টেনার টার্মিনালটি পুরোদমে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারিভাবে আমদানিকৃত চালবাহী অপেক্ষাকৃত ছোট গিয়ারলেস (নিজস্ব ক্রেন নেই এমন) জাহাজগুলো এখানে হ্যান্ডলিং করা হবে। শুরুতে গিয়ারলেস বাল্ক কেরিয়ার হ্যান্ডলিং করা হলেও পরে এই টার্মিনালে পুরোদমে কন্টেনার ভ্যাসেল হ্যান্ডলিং করা হবে। অবশ্য ইকুইপমেন্ট স্থাপন এবং অপারেটর নিয়োগসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কত সময় লাগে তা জানা যায়নি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয় করে পতেঙ্গা কন্টেনার টার্মিনালের অবকাঠামোগত নির্মাণ সম্পন্ন করে। পতেঙ্গার ড্রাইডক থেকে বোট ক্লাব পর্যন্ত রাস্তার পাশের ৩২ একর জায়গায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই টার্মিনাল নির্মাণ করে। এর মধ্যে ১৬ একরের ব্যাকইয়ার্ড সুবিধাসহ ৬০০ মিটার জেটি নির্মাণ করা হয়। এই টার্মিনালের ইয়ার্ডে একসাথে সাড়ে চার হাজার টিইইউএস কন্টেনার রাখা যাবে এবং বছরে গড়ে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। পিসিটির জেটিতে ১৯০ মিটার লম্বা ও ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের ৩টি কন্টেনারবাহী জাহাজ বার্থিং দেয়া যাবে। এছাড়া ২২০ মিটারের একটি ডলফিন জেটিও প্রকল্পটিতে রয়েছে। টার্মিনালটি গত জুলাই মাসে পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধনের দিন ঠিক হলেও পরে তা স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে হঠাৎ গতকাল বিকালে মিয়ানমার থেকে ২,৬৫০ টন
আতপ চাল নিয়ে আসা এমসিএল-১৯ নামের জাহাজটিকে পিসিটিতে ভিড়ানো হয়। জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট সেভেন সীজ শিপিং লাইন্স লিমিটেড এবং স্টিভিডোর হচ্ছে মেসার্স এ ডব্লিউ খান। গতকাল জাহাজটি বার্থিং নিলেও পণ্য খালাসের দায়িত্ব পাওয়া স্টিভিডোরিং প্রতিষ্ঠান এ ডব্লিউ খান মিলাদ মাহফিলের পর পণ্য খালাস শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করে। তাদের আগ্রহের প্রেক্ষিতে আজ সকালে মিলাদ মাহফিল শেষে ওই জাহাজ থেকে চাল খালাস করে হালিশহর ও দেওয়ানহাট সিএসডিতে পাঠানো হবে।
মিয়ানমার ও ভারত থেকে চাল নিয়ে আসা ক্রেনহীন অপেক্ষাকৃত ছোট জাহাজগুলোকে এই টার্মিনালে বার্থিং দিয়ে চাল খালাস করা হবে। চালবাহী বড় মাদার ভ্যাসেলগুলোকে গ্রেন সাইলো কিংবা বন্দরের অন্যান্য জেটিতে বার্থিং দেয়া হবে।
সেভেন সীজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী আকবর গতকাল আজাদীকে বলেন, আমাদের একটি জাহাজ বার্থিং দেয়ার মাধ্যমে পিসিটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো। ভালো লাগছে। চট্টগ্রাম বন্দরের অনেক নতুন কার্যক্রমের সাথে আমি জড়িত। সারের জাহাজ বার্থিং দেয়ার মাধ্যমে বন্দরের এনসিটি টার্মিনালও আমি শুরু করেছিলাম। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম লগের (কাঠ) জাহাজও আমি এনেছিলাম। আগামী কিছুদিন মিয়ানমার ও ভারত থেকে চাল নিয়ে আরো কয়েকটি ছোট জাহাজ আসবে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বল্প সময়ের মধ্যে চালু হবে ই-ভিসা
পরবর্তী নিবন্ধওয়ার্ড সম্মেলন স্থগিত