চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে নেই কোলাহল

ক্রেতা না থাকায় অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৭ জুলাই, ২০২১ at ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ

কঠোর লকডাউনের প্রভাবে দেশের ভোগ্যপণ্যের বৃহৎ পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে নেই চিরচেনা ব্যস্ততা। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা অধিকাংশ সময় নিজেদের মধ্যে খোশগল্প করেই সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া শ্রমিকদের পণ্যের গুদামে ও ভ্যানগাড়িতে ঘুমিয়ে কাটাতে দেখা যায়।
গতকাল চাক্তাই খাতুনগঞ্জে সরেজমিন দেখা গেছে, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের অনেক সড়কে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা। এছাড়া নেই শ্রমিকদের চিরচেনা হাঁকডাক ও চিৎকার চেচামেচি। দেখা যায়নি রাস্তার দু পাশে ট্রাক কাভার্ড ভ্যানের দীর্ঘ সারি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনে ব্যাংকের সময়সীমা কমে যাওয়ায় বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অনেক পার্টি বিকেলে টাকা পরিশোধ করতে চায়, কিন্তু ব্যাংকের নতুন সূচি অনুযায়ী তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ব্যাংকিং লেনদেনেও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, খাতুনগঞ্জের ব্যবসা-বাণিজ্যে গত বছর খানেক যাবত এক প্রকার ভাটা পড়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনে ভোগ্যপণ্যের দাম কমে গেছে। করোনায় ব্যবসায়ীরা যে লোকসান গুণছেন, সেই হিসেবে সরকারি প্রণোদনা কারো ভাগ্যে জুটছে না। চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, লকডাউনে চাক্তাই খাতুনগঞ্জে চিরচেনা সেই ব্যস্ততা নেই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যা বাজার করার আগেই করে ফেলেছেন। ফলে বিক্রি কমে গেছে। করোনায় আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। একে তো বাজারে পণ্যের দাম কম, তার ওপর ক্রেতা নেই। অন্যান্য বছর এমন সময় পণ্য বিক্রির জন্য দম ফেলার ফুসরত থাকতো না। চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উল্লাহ বলেন, লকডাউনে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পার্টিরা আসতে পারছে না। এখন পণ্য পরিবহনে খরচও বেড়েছে। সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতিদিনই নতুন রেকর্ড
পরবর্তী নিবন্ধবহদ্দারহাট থেকে দুই চাঁদাবাজ আটক