চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় গুঁড়িয়ে দেয়া হল ৬ অবৈধ ইটভাটা

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় ৬টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে চন্দনাইশে ৪টি ও লোহাগাড়ায় ২টি। এসব ইটভাটার চিমনি
স্কেভেটরের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আমাদের চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান, গতকাল রোববার বেলা ১১টায় শুরু হওয়া অভিযানে চন্দনাইশে একে একে ৪টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ইটভাটাগুলো হল- বাগিচাহাট এলাকার টু স্টার ব্রিকস, খাজা ব্‌্িরকস, কাঞ্চনগর এলাকার মেসার্স চৌধুরী ব্রিকস ও কাঞ্চননগর ব্রিকস।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিদর্শক নুর হাসান সজিব। অভিযানে পুলিশ, র‌্যাব ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সহযোগিতা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের পরিদর্শক নুর হাসান সজিব জানান, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল এক সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ ইটভাটাগুলো ভেঙে দেয়ার। মালিকদের কোনো সময় দেয়ার সুযোগ না থাকায় রোববারের অভিযানে ৪টি অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে গতকাল রোববার দিনব্যাপী পরিবেশ অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজিরভিটা এলাকায় ২টি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। এ সময় ধ্বংস করা হয়েছে ভাটায় তৈরিকৃত কাঁচা ইট। গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটাগুলো হল, ইউপি চেয়ারম্যান নুরুচ্ছফা চৌধুরীর মালিকানাধীন ‘কেএনবি’ ইটভাটা ও সৈয়দ মাস্টারের মালিকানাধীন ‘এলবিসি’ ইটভাটা। এসব ইটভাটার পরবর্তী কার্যক্রম বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান ও পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন। এছাড়া সাথে ছিলেন সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. জুলহাস উদ্দিন, র‌্যাব-৭ এর ডিএডি আবদুল হক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ফায়ার সার্ভিস, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমান জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৩ অমান্য করে অবৈধভাবে ফসলি জমি ও জনবসতি এলাকায় ভাটা গড়ে তোলায় হাইকোর্টের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উচ্ছেদকৃত ইটভাটাগুলোতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রদত্ত লাইসেন্স, পরিবেশগত ছাড়পত্র, বনবিভাগের ছাড়পত্র ও বিএসটিআই’র মানপত্র নেই। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এসব ইটভাটা কার্যক্রম পরিচালনা করছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের চার পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধপানি সংকটে ১০ হাজার বাসিন্দা, নির্বিকার ওয়াসা