চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা ও করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত দ্রুত বাতিল করুন

রোডমার্চের সমাপনীতে প্রিন্স

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৯ জুন, ২০২৫ at ৮:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা ও করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে ৫ আগস্টের পর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বামজোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, এক সেকেন্ড দেরি না করে ঘোষণা দেন যেআমরা বন্দর লিজ দেব না। আপনারা দেশবিরোধী, সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসের পর আমরা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।

ঢাকা থেকে শুরু হওয়া দুইদিনের রোডমার্চের সমাপনীতে গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানিকে যুক্ত করার পদক্ষেপ, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডোরের উদ্যোগ, স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশকে তাদের ভাষায় ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে’ জড়ানোর চেষ্টা বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণের কথা বলার অধিকার, ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আমরা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে স্বৈরাচার হটিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হলাম। আমরা শোষণমুক্তির কথা বললাম। আমরা আশা করেছিলাম, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এই সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের সেই দায়িত্ব পালন করবে। এত বড় হত্যাকাণ্ড, তার বিচারের কাজ দৃশ্যমান করবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে, নির্বাচনের জন্য যা যা সংস্কার করা দরকার, তাই করবে। আর গণতন্ত্রের পথে যাত্রার জন্য নির্বাচন দেবে। সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, কিন্তু আমরা ক্ষোভের সাথে লক্ষ্য করলাম, সরকার এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে এমন কতগুলো কাজ শুরু করলেন, যা তাদের সংস্কারের আলোচনায় নেই। ওই যে বন্দর ভবন দেখা যায়, আপনারা চট্টগ্রামের মানুষ, বন্দর কি সংস্কারে ছিল? না, এটা তো ছিল না। তাহলে বন্দর লিজের কথা উঠল কেন? বন্দর কি লোকসানি প্রতিষ্ঠান? না, এটা তো লাভজনক প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রাম জেলা সিপিবির সভাপতি অশোক সাহার সভাপতিত্বে এবং বাসদের জেলা ইনচার্জ আল কাদেরি জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলবাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, ফ্যাসিবাদী বিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও গণমুক্তি ইউনিয়নের সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন আহম্মদ নাসু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের আহ্বায়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর সাধারণ সম্পাদক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সমন্বয়ক মাসুদ খান, বাংলাদেশের জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. মুশতাক হোসেন, জাতীয় গণফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রজত হুদা, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সমন্বয়ক মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী আবদুল আলী, বাংলাদেশের সোশ্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, গণমুক্তি ইউনিয়ন চট্টগ্রাম সভাপতি রাজা মিঞা, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ, সাম্যবাদী আন্দোলন জেলা ইনচার্জ শাহীন মনজুর, সিপিবি নেতা নুরুচ্ছফা ভূঁইয়া ও বাংলাদেশ জাসদ চট্টগ্রামের সভাপতি নুরুল আলম মন্টু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখেজুরের বিচি গায়ে পড়া নিয়ে বিতণ্ডা, রুমমেটের হামলায় মহেশখালীর যুবক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধজুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের বর্ণাঢ্য কর্মসূচি