চট্টগ্রামে মারা গেছে ৮ জন

শনাক্ত আরো ৩০৫

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৭ এপ্রিল, ২০২১ at ৩:২৯ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যু মিছিলের পর গত ১৫ এপ্রিল মৃত্যুশূন্য ছিল চট্টগ্রাম। একদিন পর গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে জেলার একজনও নেই, ৮ জনই নগরীর বাসিন্দা। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান আজাদীকে গতকাল শুক্রবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জন মারা যান ১০ এপ্রিল। এছাড়া, করোনাকালের সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয় ১১ এপ্রিল। মৃত্যু এবং শনাক্তের দুটি রেকর্ডই এ মাসে হয়। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি করোনায় চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত হয়েছে ৩০৫ জনের। ১ হাজার ১৪২ টি নমুনা পরীক্ষায় এ ৩০৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষাকৃত নমুনায় ২৬.৭০ শতাংশের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে এদিন। নতুন শনাক্ত ৩০৫ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৩৮০ জনে। এর মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৩৭ হাজার ২১৫ জন ও জেলার ৯ হাজার ১৬৫ জন। আক্রান্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৪৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে মহানগরীর ৩২৯ জন ও জেলার ১১৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ১৪২ টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯৪১ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৬ হাজার ৩৮০ জনের। হিসেবে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের গড় হার ১২. ০৭ শতাংশ। নতুন ৯২ জনসহ এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ১৩৫ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮৫ জন। অন্যদিকে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ৩৫০ জন। হিসেবে আক্রান্তদের ৭৫.৭৫ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ৩০৫ জনের মধ্যে ২৭১ জন নগরী ও ৩৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে একজন রোগীও নেই। তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৩৬৯ জন রোগী।
সিভিল সার্জন জানায়, এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক হিসেবে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরাই করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হচ্ছেন। আর ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দশ বছরের কম বয়সীরা ২.৫১ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীরা ৬.৯৪ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা ১৯.৭৪ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২৩.৫৬ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৮.৫৪ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ১৫.২৪ শতাংশ ও ৬০ থেকে উর্ধ্বের বয়সীরা ১৩.৪৪ শতাংশ হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান আজাদীকে গতকাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআটকে পড়া প্রবাসীদের জন্য আজ থেকে বিশেষ ফ্লাইট
পরবর্তী নিবন্ধঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ