চট্টগ্রামে ডায়ালাইসিস সেবা থাকলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সেবা নেই

আজ বিশ্ব কিডনি দিবস

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ, ২০২৪ at ৯:৩৪ পূর্বাহ্ণ

আজ বিশ্ব কিডনি দিবস। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

চট্টগ্রামে বাড়ছে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগী। কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। রোগীর রক্তচাপ কম থাকলে সেটা স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা করাও জরুরি। সঠিক সময়ে রোগ শনাক্ত না হলে অনেক রোগী খারাপ হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কিডনি রোগ বিভাগে শয্যা রয়েছে ৪০টি। কিন্তু প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে দ্বিগুণেরও বেশি। হাসপাতালে সিকেডি (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ) রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া একেআই (একিউট কিডনি ইনজুরি) ও সংক্রমণজনিত কিডনি রোগীও আসছে। হাসপাতালে প্রতিদিন ১৩০ থেকে ১৫০ রোগীর ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। ডায়ালাইসিস সেবা থাকলেও কিডনি প্রতিস্থাপন সেবা নেই চট্টগ্রামে।

চমেক হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল হুদা বলেন, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপকে বর্তমানে কিডনি রোগের প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহে ব্যাঘাত, হঠাৎ কিডনি অকেজো হওয়া, স্থূলতা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের কারণেও কিডনি রোগ হয়। এছাড়া ধূমপায়ী এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। কিডনি রোগ সচেতনতা প্রয়োজন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০ লাখের বেশি কিডনি বিকল রোগী সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসার অভাবে অকালে মৃত্যুবরণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যুঘাতী হিসেবে কিডনি রোগের অবস্থান ২ যুগ আগেও ছিল ২৭তম, যা বর্তমানে সপ্তম অবস্থানে চলে এসেছে এবং ২০৪০ সাল নাগাদ এটা পঞ্চম অবস্থানে পৌঁছাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় আগুনে ৬ বসতঘর পুড়ে ছাই
পরবর্তী নিবন্ধবদ্ধ ঘরের ভেন্টিলেটরে ঝুলছিল যুবকের লাশ