গ্রাহকের আস্থায় ২১ শে এপিক

| মঙ্গলবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

স্বপ্নবোনা ও তাকে বাস্তবতায় পরিণত করার আকাঙ্ক্ষা মানুষের প্রতিনিয়তই। নিজের একটি বাড়ির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার যে আনন্দ তার সাথে আর কিছুরই তুলনা হয়না। এমনই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৩ সালে, তিনজন স্বপ্নবাজ তরুণ প্রকৌশলীর হাত ধরে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। উদ্ভাবন, মানসম্পন্ন নির্মাণ ও গ্রাহক সেবার অনন্য দৃষ্টান্তের গল্পকার হয়ে অতিক্রম করেছে ২০ বছরের সুদীর্ঘ পথ। আর এই জয়যাত্রায় উৎকর্ষের ধারাবাহিক চিহ্ন রেখে চলেছে ঢাকা ও চট্টগ্রামের আবাসন খাতে।

শুরু থেকেই এপিক প্রপার্টিজের প্রয়াশ ছিল গ্রাহকদের ভিন্ন কিছু উপহার দেয়ার। সেই লক্ষে অটুট থেকে রচনা করে চলেছে একের পর এক নির্মাণকাব্য। যেখানে প্রতিটি ইটের গাঁথুনিতে লুকিয়ে আছে প্রতিশ্রুতির গল্প আর প্রতিটি কাঠামোতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। ভবনগুলোর প্রতিটি কক্ষ শহুরে জীবনের গল্প বলে, ছোটছোট হাসি আনন্দের সাথী হয়।

শুরু থেকেই গতানুগতিক ধারার বাইরে যেয়ে অনন্য ডিজাইন, গুণগত মানসম্পন্ন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে গ্রাহকদের মনে জায়গা করে নেয়ার লক্ষ নিয়ে কাজ করে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অসাধারণ টিমওয়ার্কের মাধ্যমে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র ইট কাঠের ফ্রেম নয়, ভবনগুলোতে তারা দিচ্ছে জীবনের প্রতিটি মুহুর্তকে উপভোগ করার মত সব উপাদান। আধুনিক ভবনগুলোতে থাকছে সুসজ্জিত জিমনেসিয়াম ও কমিউনিটি স্পেস ছাড়াও আরও নানান অনুষঙ্গ। ভবনের ছাদজুড়ে থাকে সবুজের আলিঙ্গন। এর সাথে স্মার্ট হোম সল্যুশনের যাদুর ছোয়ায় প্রতিটি ভবন হচ্ছে আধুনিক এবং স্মার্ট। ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করেছে ৬৫ টিরও বেশি প্রজেক্ট প্রায় ২৫০০ অ্যাপার্টমেন্ট এবং কমার্শিয়াল ইউনিট। এই ৩৩ লক্ষ ৫ হাজার বর্গফুটের নির্মাণযজ্ঞে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে এপিকের একদল দক্ষ কর্মী। তাদের মেধায় ও ঘামে রচিত হচ্ছে এক হাজারেরও বেশি পরিবারের স্বপ্নগাঁথা। দেশের অন্যতম সেরা আবাসন প্রতিষ্ঠান হিসেবে এপিকের প্রধান প্রতিশ্রুতিই হচ্ছে ‘কন্টিনিউয়াল ইমপ্রুভমেন্ট’।

চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ স্থানে এপিক নির্মাণ করছে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন সব প্রকল্প। সবুজে ঘেরা চট্টগ্রামের অন্যতম শিক্ষাকেন্দ্র চকবাজারের পার্সিভিল হিলে ‘এপিক ভূঁইয়া ইম্পেরিয়াম’ তাদের অভিনব একটি প্রজেক্ট। আধুনিক এই প্রজেক্টে থাকছে নগর জীবনের সকল আধুনিক সুযোগসুবিধা। প্রজেক্টের খুব কাছেই রয়েছে চট্টগ্রামের সব নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, শপিং মল ও হাসপাতাল। সবুজে ঘেরা ইস্পাহানি হিলসে নির্মাণ করা হচ্ছে লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট ‘ক্রাউন ক্রেস্ট এপিক’ এবং ‘এপিক ম্যাগনোলিয়া’। নগরীর প্রাণ কেন্দ্র জিইসি মোড়ের খুব কাছেই খুলশী এলাকাতে গড়ে উঠছে এই প্রজেক্টগুলো।

এছাড়াও নগরীর অন্যতম আবাসিক এলাকা নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে গড়ে উঠেছে ‘এপিক হুদা প্যালাসিও’। অন্যদিকে চট্টগ্রামের অভিজাত বাদশা মিয়া চৌধুরী রোডে গড়ে উঠেছে ‘এপিক ফেরদৌস উইন্ডসর’। নাগরিক জীবনের সকল সুযোগসুবিধা সম্বলিত এই প্রজেক্টটি এপিকের অন্যতম লাক্সারিয়াস প্রজেক্ট। একই ছাদের নিচে থাকছে আধুনিক জীবনের সকল উপকরণের সমাহার। এর মধ্যে অন্যতম হলসুইমিং পুল, ফিটনেস সেন্টার, জগিং ট্রেক।

নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোডের ‘এপিক হাদি ক্যাসেল’ ও লালখান বাজারের ‘এপিক এস এ সিদ্দিকী পার্ক’ অন্যতম। চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ, দেওয়ান বাজার রুমঘাটা ও ঢাকার ভিতরেই আধুনিক নগরী বসুন্ধরা আ/এ ও হাতির ঝিলের ঠিক পাশেই বাড্ডা এলাকায় আরও কয়েকটি অভিনব প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়েছে।

দেশ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গায় এপিক গ্রুপ অব কোম্পানিজ শুধু আবাসিক নির্মাণে সীমাবদ্ধ নয়। আবাসনের পাশাপাশি এপিক হেলথ কেয়রের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম স্বাস্থ্যখাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এপিক। বিগত ২১ বছরে এপিক তার অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম এপিক এনার্জি কোং, এপিক রেডিমিক্স কংক্রিট, বিডকো, এপিক ডেইরি ফার্ম এবং এপিক ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস্‌।

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র কাওরান বাজারে গড়ে উঠছে তিন তারকা মানের বুটিক হোটেল স্টুডিও ২৩। আধুনিক ডিজাইন ও অনন্য নির্মাণ শৈলীর সাথে সাথে, তাদের যে বৈশিষ্ট্যে এপিক প্রপার্টিজকে সবচেয়ে আলাদা করে তা হল সময়মত প্রজেক্ট হস্তান্তরের প্রয়াস। পরিবেশ রক্ষার দায়বদ্ধতা থেকেই প্রতিটি প্রজেক্ট সবুজায়ন করছে এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড।

একুশ বছরের পদার্পণের এই গর্বিত যাত্রায় এপিকের সাথে যুক্ত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি পরিবার। যারা এপিকের দক্ষ হাতেই তাদের আপননিবাস নির্মাণের জন্য আস্থা রেখেছে। গ্রাহকবান্ধবতা ও নির্মাণে সৃষ্টিশীলতা এপিক প্রপার্টিজকে তুলে এনেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেজবান: চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের ধারক
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের সংগীতের ইতিহাসে ব্যান্ড প্রসঙ্গ