কোরবানির পশুর বর্জ্য নির্ধারিত জায়গায় ফেলুন

| বৃহস্পতিবার , ১৫ জুলাই, ২০২১ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

কয়েকদিন পরেই ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার অন্যতম অনুষঙ্গ হলো পশু কোরবানি। প্রতিবছরই পশুর বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও অসচেতনতার কারণে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি আলোচনায় আসে। যেখানে সেখানে পশুর বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে থাকে। পশুর বর্জ্য যখন পঁচতে শুরু করে তখন দুর্গন্ধ প্রকট আকার ধারণ করে। চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর ফলে রোগব্যাধির অবাধ বিস্তার ঘটে। কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্টের একটি অংশ যদি খোলা জায়গায় কিংবা ড্রেনে ফেলা হয় তাহলে তা থেকে দুর্গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের রাস্তা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করে। তখন সিটি করপোরেশন কিংবা পৌরসভা এসব বর্জ্য পরিষ্কার করতে হিমশিম খায়। তাছাড়া, চামড়ার কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে অনেকেই চামড়া যেখানে সেখানে ফেলে দেন। এতেও চামড়া পচে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং পরিবেশ দূষিত হয়। কোরবানির পর পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, মল ও তরল পদার্থ কোনো অবস্থাতেই যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। এগুলো নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে। মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্ট ময়লা যেখানে সেখানে না ফেলে এগুলো গর্তে পুঁতে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে নির্ধারিত ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে।

মো. আশরাফুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুগার রসায়নের জনক হের্মান এমিল ফিশার
পরবর্তী নিবন্ধদুর্ঘটনা ঘটলেই কেবল মাতামাতি এরপর খবর থাকে না