কোভিডে ব্যাংককর্মীর মৃত্যু হলে পরিবার পাবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা

আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ নেই

| মঙ্গলবার , ২০ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আক্রান্ত হলে যে বীমা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে শুধু মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদবী অনুযায়ী তিনটি ধাপে ফেলে তাদের পরিবারকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে নতুন সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মহামারীর মধ্যে ব্যাংকারদের কাজে উৎসাহ দিতে গত বছর এপ্রিলে সার্কুলার জারি করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাংককর্মীকে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সেই সার্কুলার রহিত করা হয়। মহামারীর অতি বিস্তার ঠেকাতে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যে প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকলেও সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংক চালু রয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্খিত মৃত্যু হলে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিবাহিত হলে স্ত্রী অথবা স্বামী অথবা সন্তানকে আর অবিবাহিত হলে বাবা বা মাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
প্রথম ধাপে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা বা সিনিয়র অফিসার বা প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা এর সমমান বা তার উপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তারা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পরিবার ৫০ লাখ টাকা পাবে। দ্বিতীয় ধাপে ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার সমমান হতে ধাপ-১ এর পূর্ব পর্যন্ত পদমর্যাদার কর্মকর্তার পরিবার পাবে সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। তৃতীয় ধাপে স্টাফ ও সাব-স্টাফ (যে কোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পাওয়া বা নিয়োজিত) কর্মকর্তার পরিবার ২৫ লাখ টাকা পাবে। এই ক্ষতিপূরণের টাকা অন্য কোনো দায়-দেনার সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে না। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমানে প্রচলিত অন্য যে কোনো কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে দিতে হবে।
এ সার্কুলার সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির তারিখ থেকে ২৯ মার্চ, ২০২০ তারিখ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমৃত্যুতে আবার রেকর্ড
পরবর্তী নিবন্ধমাননীয় প্রধানমন্ত্রী, করোনার ওষুধ সহজলভ্য হোক