কি ছু জা না কি ছু অ জা না

একুশে ফেব্রুয়ারি

প্রবীর বড়ুয়া | বুধবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

  • ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটির গীতিকার আব্দুল গাফফার চৌধুরী, ১ম সুরকার আব্দুল লতিফ এবং বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
  • বাংলা ভাষার জন্য ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন রফিক, বরকত, জব্বার। ২২ ফেব্রুয়ারি শহীদ হন সালাম, শফিউর, আব্দুল আউয়াল, অহিউল্লাহ এবং সিরাজুদ্দিন। সর্বমোট শহীদ হন ৮ জন।
  • ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি ছিল ৮ ফাল্গুন ১৩৫৯ বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার।
  • ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। একুশের প্রথম কবিতা হিসেবে ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি সেটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী। কবিতাটি ছাপানো হয় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার কোহিনূর ইলেকট্রিক প্রেসে। পাকিস্তান সরকার প্রকাশনাটি নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি কোহিনুর ইলেকট্রিক প্রেস বন্ধ করার আদেশ দেয়। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি চট্টগ্রামের লালদীঘিতে প্রথম পাঠ করেন হারুন-উর-রশীদ।
  • রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই-এর প্রথম প্রস্তাবক ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত।
  • সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে।
    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রথম শহীদ মিনার তৈরি করেন ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে শহীদ মিনারটির অনানুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শহীদ শফিউরের পিতা। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে এটির উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতি হলেন হামিদুর রহমান, সহকারী ছিলেন নভেরা আহমেদ।
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রতীকটি প্রকাশ করে মা তার সন্তানকে মাতৃভাষার গল্প শোনাচ্ছে।
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আয়তন ১৫০০ বর্গফুট বা ১৪০ বর্গমিটার, উচ্চতা ৪৬ ফুট বা ১৪ মিটার।
  • কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি।
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথম ডাকটিকেটে ছবি ছিল শহীদ মিনারের।
  • দেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয় জাপানে।
  • পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় মাতৃভাষা বাংলা।
  • ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর।
  • ভাষা আন্দোলনের মুখপাত্র ছিল সাপ্তাহিক সৈনিক, প্রথম সম্পাদক ছিলেন শাহেদ আলী।
  • ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমউদ্দিন।
  • বাংলা ভাষা তৎকালীন পাকিস্তান সংবিধানে গৃহীত হয় ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে।
  • একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে আবেদন জানিয়েছিলেন কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম।
  • ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর। প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় ২০০০ খ্রিস্টাব্দে।
  • একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রথম পালন করে ১৮৮টি দেশ।
  • বাংলাদেশের বাইরে প্রথম বাংলা ভাষা শিক্ষা দেয়া হয় কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে।
  • ‘মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা’ কবিতাটি লিখেছেন অতুল প্রসাদ সেন।
  • ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ গানটির গীতিকার ও সুরকার আব্দুল লতিফ।
  • ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রথম উপন্যাস জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’।
  • ভাষা আন্দোলন বিষয়ক বিখ্যাত নাটক মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’। নাটকটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি।
  • ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক বিখ্যাত চলচ্চিত্র জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ যে চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ প্রথম ব্যবহৃত হয়।
পূর্ববর্তী নিবন্ধশোকের একুশ
পরবর্তী নিবন্ধগাইনী বহির্বিভাগে জরায়ুর ক্যান্সার স্ক্রিনিং সেন্টারের উদ্বোধন