কিশোর অপরাধ নৈতিকতার অবক্ষয়

সালাম সৌরভ | বৃহস্পতিবার , ১৪ জুলাই, ২০২২ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয়। তবে শিক্ষক হচ্ছে, জাতির চোখ বা দৃষ্টি। যে জাতি শিক্ষককে পিটিয়ে মারতে পারে, সে জাতি তো জাতির দৃষ্টিকে অন্ধ করে দেয়। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর দ্বিতীয় জন্মদাতা হচ্ছে তার শিক্ষক। আশি ও নব্বই দশকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং শ্রেণির পরীক্ষায়, শিক্ষক ও শিক্ষা বিষয়ক নিয়ে প্রচুর ভাব সম্প্রসারণ ও রচনাবলী পরীক্ষায় আসত। যেমন- শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আমার প্রিয় শিক্ষক, অথবা শিক্ষকের মর্যাদা, ইত্যাদি ইত্যাদি। শিক্ষা নীতি যেমন পাল্টে গেছে। তেমনি পাল্টে গেছে পাঠ্যবইয়ের সূচিপত্র। আগের দিনে প্রতিটি ধর্মে নৈতিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দিত। কারণ শিক্ষিত ও সুশিক্ষিতের মধ্যে অনেকটা পার্থক্য আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু শিক্ষিত হলে তো হবে না, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। কিশোর অপরাধ দমনের প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে, নৈতিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া। বর্তমান সময়ে শিক্ষক হত্যা ও শিক্ষক লাঞ্ছনা দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। শিক্ষক তিনি যে জাত ধর্মেরই হোক না কেন শিক্ষক মানে মাতৃ-পিতা সমতুল্য, দ্বিতীয় জন্মদাতা। শিক্ষক লাঞ্ছনার এই নাক্কারজনক ঘটনাকে পুঁজি করে, অনেকে ধর্ম দ্বন্দ্ব ও সম্প্রদায়িকতার চেতনাকে উস্কে দিচ্ছে। এটা কি আমাদের জন্য অশনি সংকেত নয়? সামাজিক ও নৈতিকতার কতটুকু অবক্ষয় হলে একজন ছাত্র শিক্ষককে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে। একজন শিক্ষক হিসেবে, এই জঘন্যতম অপরাধের পেছনের শক্তি ও উস্কে দেওয়া গোষ্ঠীকে সামনে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি রাখছি। আজকের বাংলাদেশ হোক সুন্দর সুহৃদ, সাম্যের সম্প্রীতির বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করুন
পরবর্তী নিবন্ধসুন্দর সমাজ ও প্রজন্ম গড়ে তুলতে সম্মিলিত চেষ্টা প্রয়োজন