দেশের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করুন

| বৃহস্পতিবার , ১৪ জুলাই, ২০২২ at ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একটা জাতির বাতিঘরস্বরূপ। যার বিচ্ছুরিত আলো গোটা জাতিকে আলোকিত করে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলো বিশেষ করে স্কুল-কলেজে অশুভ ছাত্রগ্যাংদের লাগামহীন কর্মকাণ্ডের কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সৃষ্টি হচ্ছে। ছাত্রগ্যাংয়ের সদস্যরা বিচ্ছিন্নভাবে বা দলবদ্ধভাবে শিক্ষাঙ্গনগুলোতে র‌্যাগিং, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং, জুয়াখেলা, মাদকসেবন, শিক্ষকদের নিয়ে কটুক্তি করা এমনকি শিক্ষক হত্যার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা একের পর এক জন্ম দিয়ে যাচ্ছে। যার অনুকরণ ও অনুসরণের প্রভাব পড়ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরও। একসময় অভ্যাসের বশবর্তী হয়ে একজন সাধারণ ছাত্রও এপথে হাঁটা শুরু করে। এসব বেপরোয়া ছাত্রদেরকে শাসাতে গিয়ে অনেক সময় আঘাত আসে নিজের তথা শুভকাঙ্ক্ষীর উপর। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ, ইভটিজিংসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে সাভারের আশুলিয়ার হাজী ইউনুস আলী স্কুল এন্ড কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক উৎপল কুমার সরকারকে, ক্রিকেটের স্ট্যাম্পের আঘাতে হত্যা করে অত্র প্রতিষ্ঠানেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্র। শিক্ষকদের ভাষায় এ আঘাত শিক্ষকের উপর নয়, পড়েছে গোটা জাতির উপর। আদতে এটি কোনোক্রমেই একজন ছাত্রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। আজকে যিনি ছাত্র, তিনিই আগামী দিনের শিক্ষক, প্রশাসক, সেবক বা অন্যকিছু। অর্থাৎ আজকের ছাত্রই আগামি দিনের ভবিষ্যৎ তথা জাতির কর্ণধার। ছাত্রজীবনের চরিত্র কর্মজীবনে প্রতিফলিত হবে, এটাই স্বাভাবিক। তাহলে আজকে আমরা জাতির কেমন কর্ণধার বিনির্মাণ করছি? ছাত্রের নৈতিক অবস্থা এমন হলে আগামীর প্রজন্ম ভয়াবহ নৈতিক অবক্ষয়ের সম্মুখীন হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই দেশের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে এবং নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি বিনির্মাণে, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রগ্যাং ও তাদের তৎপরতা কঠোর হস্তে দমন করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নুরুল আবছার
শিক্ষার্থী, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅজৈব রসায়নের গোড়াপত্তনকারী বিজ্ঞানী : পুলিনবিহারী সরকার
পরবর্তী নিবন্ধকিশোর অপরাধ নৈতিকতার অবক্ষয়