ব্রিফকেসে আনারের মরদেহ নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ্যে

| শুক্রবার , ২৪ মে, ২০২৪ at ৭:২৭ অপরাহ্ণ

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন তার একটি সিসিটিভি ফুটেজ বিভিন্ন গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।

ফুটেজে দেখা যায়, এমপি আনার দুইজনের সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন। কিন্তু জীবিত আর বের হননি।

ফুটেজ অনুযায়ী, ১৩ মে দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে সঞ্জীবা গার্ডেনের আলোচিত সেই ফ্ল্যাটে ঢোকেন এমপি আনার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন শিমুল ভুঁইয়া ও তার সহযোগী ফয়সাল। এমপি আনার বেশ শান্তশিষ্টভাবে দরজার বাইরে র‍্যাকে তার জুতা রাখেন। পরে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তিনি।

কয়েক ঘণ্টা পর বের হয়ে আসেন শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, হাতে ছিল একটা লাগেজ। এরপর তার সঙ্গে পলিথিনের ব্যাগ হাতে বের হন আরেকজন। বের হওয়ার সময় শিমুল দরজা দিয়ে লক করে দেন। লিফট দিয়ে নেমে তারা বের হয়ে যান।

এদিকে আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কসাই জিহাদকে আদালতে তোলা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) কলকাতার বারাসাত আদালতে তাকে তোলা হয়।

গোয়েন্দাসূত্রে বলা হয়, এমপি আনর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামানের কলকাতায় যাওয়ার দুই মাস আগেই জিহাদকে ডেকে আনা হয়। জিহাদ জানিয়েছে- আখতারুজ্জামানের নির্দেশে তিনিসহ চারজন এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

হত্যার পর এমপি আনারের শরীর থেকে মাংস এবং হাড় আলাদা করে জিহাদ। পরে মূলত পরিচয় নষ্ট করার জন্য এমপির মাংস কিমা করে তা প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখা হয়। আর হাড়গুলোকে ছোট ছোট টুকরো করে নেওয়া হয়। পরে ওই ব্যাগগুলো ফ্ল্যাট থেকে বের করে নানা ধরনের যানবাহন ব্যবহার করে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, জিহাদ হাওলাদার (২৪) একজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তার বাড়ি খুলনা জেলার দিঘলিয়া থানায়। তার বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। তবে জিহাদ বসবাস করত ভারতের মুম্বাই শহরে। সেখানে সে একটি মাংসের দোকানে কসাইয়ের কাজ করত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, দম্পতি আটক
পরবর্তী নিবন্ধকাঠগড়ায় অঝোরে কাঁদলেন শিলাস্তি