কষ্টে আত্মহনন নয়, ঘুরে দাঁড়ান

সেলিম তালুকদার আকাশ | রবিবার , ২০ মার্চ, ২০২২ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

সমসাময়িক বিভিন্ন কারণে কষ্ট পেয়ে আত্মহননের পথ বেঁচে নিয়েছে এ যুগের বোকা লোকেরা, ফেইস বুক লাইভে এসে। পথটা শুরু করেছিলো বোকা মানব রিয়াজের শ্বশুর, এরপর একজন সুন্দরী তনয়া ও একজন যুবক, তিনজনই এদেশের সবচেয়ে বোকা লোক ছিল। দুঃখ কষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন। এটা মেনে নিতে হবে, নিজের মতো করে সবকিছু হয় না! কিন্বা সবকিছু পাওয়া যায় না। কিছু কিছু অর্জন করে নিতে হয়। আত্মহনন মানে বিপরীত পক্ষকে জিতিয়ে দেওয়া। বিপরীতে থাকা লোককে জিতিয়ে না দিয়ে, যে তোমাকে অবহেলা করে, তুমি জিতিয়ে তাকে দেখিয়ে দাও। তুমিও পার, তুমিও পারবে। মানুষ যখন বিপদে পড়ে তখন তার রক্তের সম্পর্কের মানুষগুলি সবার আগে এগিয়ে আসে একথা সত্যি হতে পারে কারো কারো জীবনে। আবার এমনও কারো জীবন আছে কাছের মানুষগুলো অনেক নাটক সাজিয়ে দূরে সরে যায়। তাতে জীবনের উপর রাগ হয়, এটা সত্যি যে বিপরীত পক্ষ কামনা করে আপনি রাগ করে কিছু একটা উল্টাপাল্টা করে বসুন যেন তারা লাভবান হতে পারে। এসময় নিজেকে খুব অচেনা লাগে! তবুও বুঝে শুনে ধৈর্য সহকারে নিজের জীবনের কথা ভাবতে হবে। ভাবতে হবে কিভাবে এরকম পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে নতুন কিছু করা যায়। জীবনের বিশালতা অনেক, জীবন কখনো ফুরিয়ে যায় না, সাময়িক থমকে যায়। আর এ থমকে যাওয়াটাকে বুদ্ধির জোরে নিজেকে সাজাতে পারলেই বিপরীতে থাকা লোকগুলির মুখ থুবড়ে পড়বে। যে নিজেকে ভালোবাসতে পারেনা। নিজের জীবনকে ভালোবাসতে পারেনা! সে অন্যকে ভালোবাসবে কিভাবে? সবার আগে নিজ এবং নিজের জীবন। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের জীবনকে ভালোবাসুন। তবেই আপনি সফল সার্থক। কখনো রাগ করবেন না, রাগ মানুষের জীবনে অনেক বেশি ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ‘রেগে গেলেনতো হেরে গেলেন’। লেখক : গল্পকার ও সম্পাদক, আলোর প্রত্যাশা

পূর্ববর্তী নিবন্ধজীবনের ক্ষত গেঁথে থাকে পেরেকের মতো
পরবর্তী নিবন্ধক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়