কর্ণফুলীর শিকলবাহায় চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে মা–ছেলেকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ১৫ জনকে আসমি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নিহত হোসনে আরার ছেলে জাফর আহমদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ দৈনিক আজাদীকে জানান, এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন মৃত মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আলতাজ বেগম (৬০), তার দুই মেয়ে ছেনোয়ারা বেগম (৩৬) ও খাইরুন নেছা সোমা (১৮) এবং মেয়ের জামাই মোহাম্মদ বাবুল মিয়া (৩৬)।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর নিহত মা–ছেলের জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ইসমত হাজীর বাড়ি এলাকায় মা হোসনে আরা বেগম (৪৪) ও ছেলে পারভেজ উদ্দীনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও দুই সদস্য সিফাত ও আরজু গুরুত্বর আহত হন। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে মোহাম্মদ তৈয়ব ও মোহাম্মদ আলীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আলীর পরিবারের লোকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তৈয়বের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে মো. পারভেজকে কুপিয়ে জখম করলে তার চিৎকারে মা হোসনে আরা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, এ ঘটনায় অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।