করোনা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সহায়তা আরও সম্প্রসারিত করেছে আবুল খায়ের গ্রুপ। দেশে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে বাড়ছে মেডিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা। এ সংকট মোকাবেলায় আবুল খায়ের গ্রুপ মেডিক্যাল অক্সিজেন সহায়তা কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করেছে। পূর্বে লিকুইড অক্সিজেন ১৫ থেকে ২০ মোট্রক টন সরবরাহ করলেও এখন তা বাড়িয়ে ২৫ থেকে ৩০ মে. টনে উন্নীত করা হয়েছে।
এছাড়া এ প্লান্টে প্রতিদিন ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ম্যানেজার ইমরুল কাদের ভূঁইয়া। তিনি বলেন, এরই মধ্যে এ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগে ২০টি হাসপাতালে বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন বা জেলা প্রশাসকের চাহিদাপত্র অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ করছে শিল্পগ্রুপের একেএস লিমিটেডের অক্সিজেন প্লান্ট।
প্রতিষ্ঠানের এজিএম মো. শামসুদ্দোহা জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আবুল খায়ের গ্রুপ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১৮ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিনামূল্যে রিফিল করে দিয়েছে। প্রতিটি ১০-২২ হাজার টাকা দামের ৫ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার গ্যাসসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও করোনা আইসোলেশন সেন্টারকে অনুদান দিয়েছে। তিনি জানান, করোনায় অক্সিজেন সংকট শুরুর পর প্রথম দিকে আমরা ১ দশমিক ৪ কিউবিক মিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করেছি। পরে ৭ দশমিক ৫ কিউবিক মিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল করি।
তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলায় অতি জরুরি অক্সিজেনের প্রয়োজনে একেএস প্ল্যান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে দেয় আবুল খায়ের গ্রুপ। প্রতিদিন ২৬০ টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহত্তম এ অক্সিজেন প্লান্ট থেকে নিয়মিত হাসপাতালগুলো মেডিক্যাল অক্সিজেন সংগ্রহ করছে। আবুল খায়ের গ্রুপের নিজস্ব উদ্যোগে ২০টি হাসপাতালে বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন করে দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষের প্রয়োজনে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে আবুল খায়ের গ্রুপের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে জানান তিনি।
