করতেন ডাকাতি, জেলে গিয়ে ভিড়লেন জঙ্গি দলে

| বুধবার , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান ওরফে মাসুদ ওরফে রণবীর প্রথম জীবনে ছিলেন ‘ডাকাত’। কারাবন্দি অবস্থায় আরেক জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষ নেতাদের সংস্পর্শে এসে তিনিও উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন বলে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

গত সোমবার কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে গোলাগুলির পর ৪৪ বছর বয়সী রণবীরসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‌্যাব। গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন জঙ্গি সংগঠনটির ‘বোমা বিশেষজ্ঞ’ আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলম ওরফে টয়। ওই অভিযান নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার রণবীর ও বাশারের বিষয়েও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। খবর বিডিনিউজের।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার রণবীর জামাতুল আনসারের শূরা সদস্যও। তার বাড়ি সিলেটে। ২০০৭ সালের আগে ডাক বিভাগে চাকরি করতেন রণবীর। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করতেন। ডাকাতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। সেইসব মামলায় ২০০৭ পরবর্তী সময়ে কয়েক দফায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন রণবীর। কারাগারে থাকাকালে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের সঙ্গে তার সদ্ভাব হয়। জেএমবির শীর্ষ নেতাদেরও সংস্পর্শেও আসেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি জঙ্গিবাদের দীক্ষা নিয়ে জেএমবিতে যুক্ত হন।’

র‌্যাব বলছে, কারাগার থেকে জামিনে বের হওয়ার পর জেএমবির জন্য কাজ শুরু করেন রণবীর। মূলত জেএমবির যেসব সদস্য কারাগারে আছেন, তাদের পরিবারের দেখভাল করতেন তিনি। কারাবন্দি জেএমবি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগও রক্ষা করতেন। জামাতুল আনসারের এখনকার শূরা সদস্য এবং অর্থ ও মিডিয়া শাখার প্রধান মোশাররফ হোসেন ওরফে রাকিবের সঙ্গে ২০১৭ সালে পরিচয় হয় রণবীরের। রাকিবের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে জামাতুল আনসারে যোগ দেন তিনি।

নতুন জঙ্গি দলে রণবীর ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকা পালন করছিলেন জানিয়ে র‌্যাবের পরিচালক বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে সংগঠনের দাওয়াতি ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমসহ সামরিক শাখার সদস্য নির্বাচন করতেন তিনি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি সংগঠনের সামরিক শাখার বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন। সংগঠনের আমীরের নির্দেশনায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি শূরা কমিটির সভার আয়োজন করেন তিনি। এসব সভায় সংগঠনের সামরিক শাখার কার্যক্রমসহ বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাত মাসে ৫ হাজার অবৈধ জন্মনিবন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে অস্ত্রসহ রইশ্যা ডাকাত গ্রেপ্তার