চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণার সাথে সাথে কমিটির দুই সহ সভাপতি পদত্যাগ করেছেন। গত সোমবার রাতে কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণার পরপর কমিটির দুই সহ সভাপতি নুরুল মোস্তফা মানিক ও রাজীবুল আহসান সুমন পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারী দুই নেতা সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
গত বছরের ২৯ মে উত্তর জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের ৮ মাস পর গত সোমবার রাতে ৩২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে কমিটি নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
গত সোমবার যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে উত্তর জেলা যুবলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমকে সভাপতি এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. শাহজাহানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে কমিটি ঘোষণার পর সোমবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগের কথা জানান নতুন কমিটির সহসভাপতি মীরসরাইয়ের নুরুল মোস্তফা মানিক। যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রের মাধ্যমে তিনি জানান, সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী বিগত ৩৫/৩৬ বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকেছি। চাওয়া–পাওয়ার হিসেব নিকেশ কিংবা ত্যাগের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরতে চাই না। শেখ হাসিনার একজন কর্মী–এই পরিচয়ই আমার জন্য যথেষ্ট।
অতএব মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন, সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহসভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করতে সুযোগ দিয়ে বাধিত করবেন।
নুরুল মোস্তফা মানিক উত্তর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ কমিটিতেও সহসভাপতি পদে ছিলেন। এছাড়া তিনি মীরসরাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জানান, আমি উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে সিভি জমা দিয়েছি, সহসভাপতি পদে নয়। কিন্তু ঘোষিত কমিটিতে আমাকে সহসভাপতি করা হয়েছে। আমি বিদায়ী কমিটিতে চার নম্বর সহসভাপতি ছিলাম। কমিটিতে সিনিয়র–জুনিয়র মেইনটেইন করা হয়নি। জুনিয়রদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। জুনিয়রদের সঙ্গে রাজনীতি করা যায় না। তাই আমি ঘোষিত কমিটির সহসভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি আজীবন প্রধানমন্ত্রীর একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতির মাঠে থাকব।
পদত্যাগের বিষয়ে অপর সহসভাপতি রাজীবুল আহসান সুমন বলেন, আমি উপজেলা ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। আমি উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে সিভি জমা দিয়েছি, সহসভাপতি পদে নয়। কিন্তু ঘোষিত কমিটিতে আমাকে সহসভাপতি করা হয়েছে; যার কারণে পদত্যাগ করেছি।