কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সন্ত্রাসী আশু

অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ১৮ জুলাই, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন কক্সবাজার শহরের ত্রাশ সন্ত্রাসী আশরাফ আলী ওরফে আশু (২৫)। গতকাল শনিবার ভোরে শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের সাহিত্যিকা পল্লী বড়বিল মাঠে তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। আশু বিজিবি ক্যাম্প ফরেস্ট অফিস পাড়ার জাফর আলমের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে একটা লম্বা বন্দুক, একটি এলজি ও সাত রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার র‌্যাব -১৫ মিডিয়া উইং।
সূত্র জানিয়েছে, কঙবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লী ও সমিতি বাজারের মাঝামাঝি অঞ্চলটি ছিল আশু বাহিনীর অপরাধ রাজ্য। তার বাহিনীর প্রধান ছিলেন আমির খান। ২০১৯ সালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান তিনি। এবার আশুও একই পথের পথিক হলো।
ফিরে দেখা : ১৬ বছর বয়সে চুরি-ছিনতাইয়ে যুক্ত হয়ে পড়েন আশু। খুব দ্রুত আমির খানের ১২ জনের ছিনতাইকারী গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে যান। পরে নিজেই চালান ৭-৮ জনের গ্রুপ।
২০১৭ সালে কঙবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বাধা দেয় একই এলাকার শরাফত আলীর ছেলে আবদুল কাদের। এতে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয় তাকে। পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে বিজিবি ক্যাম্প ফরেস্ট অফিসের পেছনে কথা-কাটাকাটির জের ধরে আমির খান, আশু ও সরওয়াররা স্থানীয় বাদশার পা কেটে দেয়।
২০২০ সালের জুলাইয়ের দিকে শহরের সাবমেরিন এলাকায় বোনের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে বাবুর্চি হেলালকে হত্যা করেন আশু। একই বছর সেপ্টেম্বরের দিকে রাজমিস্ত্রি শফিউল্লাহকে কুপিয়ে হত্যা করে আশু ও সাদ্দাম (২৮) বাহিনী। সাদ্দাম শহরের রুমালিয়ারছড়া সমিতি বাজার এলাকার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে। তার নামে তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, তিন বছরে আশুর হাতে খুন হয়েছেন পাঁচজন মানুুষ। ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছে শতাধিক। এছাড়া ডাকাতি, অপহরণ ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার গ্রুপের বিরুদ্ধে। এসব কারণে বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, অস্ত্র, ডাকাতি প্রস্তুতিসহ ১২টি মামলা ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য ও ওষুধ বিক্রি
পরবর্তী নিবন্ধপালিয়ে যাওয়া সুপারির ট্রাকটি সিলেটে জব্দ