ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদ্রাসা-এ তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া সুন্নিয়ার সম্মুখ থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ কক্সবাজারের যৌথ উদ্যোগে বের করা হয় বিশাল পবিত্র জশনে জুলুসের র্যালী। এতে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান ফারুক।
র্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে। এতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেয় প্রায় ৩০ হাজার নবী (স.) প্রেমী। র্যালীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের মুখে মুখে ছিল রাসুল (স.) এর প্রতি দরূদ পাঠ।
ভোর সকাল থেকে সাদা ও সবুজ পায়জামা-পাঞ্জাবী এবং পাগড়ি পরে জশনে জুলুসে যোগ দিতে ছুটে আসে শিশু থেকে শুরু করে হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সবার হাতে শোভা পায় ধর্মীয় পতাকা, প্লেকার্ড, পেস্টুন ও ব্যানার। বর্ণিলভাবে সাজানো হয় র্যালীতে অংশ নেয়া যানবাহন।
পরে মরহুম আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম চিশতির বাড়িতে মিলাদ, মোনাজাত ও তবররুক বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) এর কর্মসূচি।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান ফারুক বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। তাই নবী করিম (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ থেকে মানুষের প্রতি সর্বোত্তম ব্যবহার ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনসেবা এবং মানবকল্যাণ সু-নিশ্চিত করা বাঞ্ছনীয়।
প্রিয় নবীর শুভাগমণ উপলক্ষ্যে বর্ণিলভাবে সাজানো হয় পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরকে।