ওই শিক্ষিকাকে স্বপদে রাখাসহ তিন সুপারিশ

মাথা ন্যাড়া করে প্রতিবাদ সব পক্ষের দায় দেখছে তদন্ত কমিটি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাবাডি দলের ছাত্রীদের প্রধান শিক্ষিকার ‘বকাঝকা ও হেনস্তার’ অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনে এ প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এর আগে কাবাডি দলের ছাত্রীদের চুলে বিশেষ ধরনের বেণি করায় প্রধান শিক্ষিকার ‘বকাঝকা ও হেনস্তার’ প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করে ফেসবুকে পোস্ট দেন স্কুলটির ক্রীড়া শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ফেসবুকে দেয়া এ স্ট্যাটাসে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এর প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে ২৩ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। চট্টগ্রামের জেলা শিক্ষা অফিসারকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য রাখা হয়। কমিটিকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
তদন্ত কমিটি জমা দিলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত রিপোর্ট হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবু রায়হান দোলন। তবে প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তিন সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, সহকারী শিক্ষিকা জাহিদা পারভীনকে স্বপদে পুনর্বহাল, তার আচার-ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করা এবং ওই সময়ে শিক্ষাপঞ্জির বাইরে মডেল টেস্ট গ্রহণের বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া।
মেয়েদের চুলে বেণি করা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের রাগারাগি ও হেনস্তার সত্যতা পেলেও এ ঘটনায় সব পক্ষের দায় দেখছে তদন্ত কমিটি। কমিটি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকার সাথে সুসম্পর্কের অভাব ছিল। প্রধান শিক্ষিকার প্রতি সহকারী শিক্ষিকার শ্রদ্ধাবোধেরও ঘাটতি ছিল।
শিক্ষাপঞ্জিতে ওই সময় মডেল টেস্ট গ্রহণের কোনো সময়সূচি ছিল না। আর ছাত্রীদের চুলের বেণি করা নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার ওভাবে রাগারাগি করাটাও সমীচিন হয়নি। সহকারী শিক্ষিকা জাহিদা পারভীন রাগের মাথায় পদত্যাগের আবেদন করেন, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয়। যদিও জাহিদা পারভীন আশা করেছিলেন, পদত্যাগপত্র দেয়ার পর স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। তবে পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে সেটি জানতে চাওয়া হয়নি। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জাহিদা পারভীনকে স্বপদে পুনর্বহালসহ প্রতিবেদনে তিনটি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাদক মামলায় এএসআইয়ের ১৫ বছরের কারাদণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধ২৫ যুবকের হাতে ২৫ পিস্তল অংশ নেয় টার্গেট কিলিংয়ে