এ হয়রানির শেষ কোথায়

| বৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

চোখে দেখা, চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি মোড়ে দুইজন রিকশা চালককে পুলিশ সদস্যরা এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা দাবি করছে। গরীব রিকশা চালক মিনতি করার পরও তাদের কলার চেপে ধরে থাপ্পর মেরেছে। এই দৃশ্য দেখার পর বুকের ভেতর কেমন লেগেছে বলার মতো না! মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের এক ছেলে রিশাদ শহরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে একটি বোরকার দোকানে চাকরি করতো। গত ১৫ ডিসেম্বর হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়। চারদিকে পরিবার সহ সবাই খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। থানায় জিডি করা হয়।

এর বেশ কিছুদিন পর ২০ ডিসেম্বর হঠাৎ পরিবার খবর পায় বাকলিয়া থানা পুলিশ তার লাশ এক জায়গায় থেকে উদ্ধার করে কবর দিয়ে দিয়েছে। অথচ ওই থানায় জিডি করা হয়েছিল। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় সে। কিন্তু মৃত্যুটা ছিল সম্পূর্ণ রহস্যজনক। কিছুতেই লাশ উত্তোলন করতে দিচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে ১২ জানুয়ারি লাশ তুলে গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি হয়রানির কাছে অসহায় জনগণ। মায়ের ডায়ালাইসিসের টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে পুলিশের নির্মম নির্যাতন, গ্রেফতারের শিকার হওয়া মোস্তাকিমের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করার পাশাপাশি অন্যান্য যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবগুলোর যথাযথ তদন্ত পূর্বক রহস্য উন্মোচন করা হোক। পুলিশরা রাষ্ট্রের সেবক। ওদের প্রধান কাজ হচ্ছে জনগণের নিরাপত্তা সুরক্ষায় যথাযথভাবে কাজ করা। যারা পবিত্র ইউনিফর্ম কলঙ্কিত করছে, দোষী পুলিশদের বিচার করা হোক।

সাফাত বিন ছানাউল্লাহ্‌

সাতবাড়ীয়া, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরামনারায়ণ তর্করত্ন : বাংলা মৌলিক নাটকের প্রথম রচয়িতা
পরবর্তী নিবন্ধহৃদমাঝারে