সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে নববধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলার আরেক আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র সরকার।
মাহফুজ কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদের ছেলে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় প্রধান আসামিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। বিডিনিউজ
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।”
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা এক নববধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলো এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা তিনজনকেও আসামি করা হয় মামলায়।
সোমবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার অমূল্য কুমার চৌধুরী।
তিনি জানান, বেলা ১২টার দিকে সাইফুর রহমান ও অর্জুন লস্করকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে বেলা ৩টায় মামলার অপর আসামি রবিউল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য প্রত্যেকের জন্য সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আদালতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোকন কুমার দত্ত।
রবিবার সকালে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা থেকে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর নবীগঞ্জ থেকে রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় রাজন মিয়া এবং আইনুদ্দিন নামের আরো দু্ই ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব যাদের নাম মামলার এজাহারে উল্লেখ নেই।