এবার আদায় কম বেড়েছে রিটার্ন

চট্টগ্রামে এক মাসে আয়কর জমা ১৮৭ কোটি টাকা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

করোনা পরিস্থিতির মাঝেও এবার আয়কর রিটার্ন জমার পরিমাণ বেড়েছে। তবে আদায়ের পরিমাণ বাড়েনি। গত বছর মেলাসহ নভেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রামে রিটার্ন দাখিল হয়েছিল ১ লাখ ৩০ হাজারটি। তবে এবার করোনার এই বৈরী পরিস্থিতিতেও এক মাসে (১ নভেম্বর-৩০ নভেম্বর) চার কর অঞ্চলের অধীনে আয়কর রির্টান জমা পড়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৩টি এবং বিপরীতে আদায় হয়েছে ১৮৭ কোটি টাকা। করোনার কারণে এবার সপ্তাহব্যাপী কর মেলার আয়োজন থেকে সরে আসে আয়কর বিভাগ। মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আলাদা বুথ স্থাপন করে করদাতাদের সেবা দেন। গত ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় সীমা নির্ধারণ করে দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই হিসেবে গতকাল ছিল আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন। তবে বিকেলের দিকে এনবিআর থেকে জানানো হয় সময়সীমা আরো এক মাস বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এ ৪৯ হাজার রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয় ৬৫ কোটি টাকা, কর অঞ্চল-২ এ ৩৪ হাজার ৮৩৯টি রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয় ৫১ কোটি টাকা, কর অঞ্চল-৩ এর অধীনে ৩৩ হাজার ৬৫২টি রিটার্নের বিপরীতে ২৯ কোটি টাকা এবং কর অঞ্চল-৪ এ ৫১ হাজার ৩২টি রিটার্নের বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪২ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদ দৈনিক আজাদীকে বলেন, কর আদায় কখনো আমাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। মেলা কিংবা মাসব্যাপী আয়োজনের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে করদাতাদের সেবাদান করা। এছাড়া করের আওতা বাড়ানো। যেহেতু এখন সময় বাড়ানো হয়েছে সংখ্যাও নিশ্চয় বাড়বে। তবে এবার কর আদায় কম হওয়ার কারণ হচ্ছে, মেলাতে আমরা কিছু বড় বড় গ্রুপের আদায় দেখাতাম। তাই আদায়ের পরিমাণটা বেশি হতো।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম কর অঞ্চলের সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলায় রিটার্ন জমা পড়েছিল ৫৮ হাজার ৬১৭টি। বিপরীতে কর আদায় হয়েছিল ৫৭০ কোটি ২৪ লাখ ২ হাজার ৭০৫ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাস্ক : জরিমানায় কাজ না হলে জেল
পরবর্তী নিবন্ধরিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল এক মাস