এক কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অন্যটিতে সীলগালা

একাধিক নোটিশ, তবুও নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৩ মে, ২০২২ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

একাধিকবার নোটিশ দেয়ার পরও পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি বিহীন কারখানা পরিচালনার দায়ে নগরের নাসিরাবাদ বিসিক শিল্প নগরীর একটি ডাইয়িং, ওয়াশিং ও প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের এনফোর্সমেন্ট টিম। একইসঙ্গে ‘মক্কা ওয়াশিং ইন্ডাঃ প্রা. লি.’ নামের কারখানাটি সীলগালা করে দেয়া হয়। গতকাল রোববার সংস্থাটির চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, গত বছরের ২৯ মার্চ কারখানাটি পরিদর্শনে দেখা যায়, কারখানা সৃষ্ট তরল বর্জ্য কোনোরুপ পরিশোধন ছাড়া কারখানা সংলগ্ন ড্রেইনে নির্গত করা হচ্ছে। যা সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতিসাধন করছে । তাছাড়া কারখানাটির অনুকূলে পরিবেশগত ছাড়পত্রও নেই।

পরবর্তীতে এ বিষয়ে একই বছরের ৬ জুন কারখানা কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানি হয়। এতে কারখানাটির বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকার পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয় এবং সাত দিনের মধ্যে ইটিপি স্থাপন করে তরল বর্জ্যের ফলাফল দাখিল করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১৪ জুন কারখানা কর্তৃপক্ষ ইটিপি স্থাপনের জন্য দুই মাস সময় চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু দুই মাস পরও ইটিপি স্থাপনে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এরপর ১৬ আগস্ট, ২১ সেপ্টেম্বর ও ২৭ অক্টোবর তিন দফায় কারখানা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু ইটিপি’র ড্রয়িং, ডিজাইন দাখিল করেন। অর্থাৎ ইটিপি স্থাপনে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল আবারো সরেজমিন পরিদর্শনকালে কারখানাসৃষ্ট তরল বর্জ্য পরিশোধন ব্যতিরেকে সরাসরি পরিবেশে নির্গত করতে দেখা যায়। বার বার সতর্ক করার পরও এবং সংশোধনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সময় প্রদানের পরও সরকারি নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে পরিবেশগত ছাড়পত্র ও ইটিপি বিহীন কারখানা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থার মারাত্নক ক্ষতিসাধন অব্যাহত রাখায় পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কারখানাটির সেবা সংযোগ (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও টেলিফোন) বিচ্ছিন্ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানাটি সীলগালা করে দেয়া হয়।

অভিযানে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিটিসিএলের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। বায়েজিদ থানা পুলিশ সহযোগিতা করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযাত্রীবাহী বাসে ৭ হাজার ইয়াবা, সুপার ভাইজার গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধমাঙ্কিপক্স : কতটা দুশ্চিন্তার?