একক অংকের ক্যাশ আউট চার্জ নির্ধারণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

| রবিবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২০ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

অধিক টাকা লেনদেনের ব্যয় প্রান্তিক মানুষদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এমএসই) এই পরিষেবার সুযোগ গ্রহণ করা থেকে দূরে রাখার কারণে বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারীদের নগদ আউট চার্জ একক অঙ্কে হ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা সরকারের চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রচারাভিযান বাস্তবায়নের জন্য ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করে এমএফএস চার্জ হ্রাস করতে হস্তক্ষেপ করার জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি এই আহ্বান জানান। খবর বাসসের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাসসের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমবিএস অপারেটর স্বেচ্ছায় তা করবে না বলে ক্যাশ আউট চার্জ কমাতে বিবি’র হস্তক্ষেপের কোনও বিকল্প নেই। তিনি বলেন, এমবিএস অপারেটররা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ব্যবসা করছে। কারণ বিবি এখনও কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারেনি। এছাড়াও, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-সিএবি) পরিচালক আশীষ চক্রবর্তী বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ক্যাশ আউট চার্জ অনেক বেশি। দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া উৎসাহিত করার জন্য এটি একক-অঙ্কের হওয়া উচিৎ।
বর্তমানে, ক্যাশ আউট চার্জ এক হাজার টাকার জন্য ১৮.৫০ টাকা যদিও এমএফএস এজেন্টরা ২০ টাকা নিচ্ছে। এদিকে, গ্রাহকদের লেনদেন প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ ডাকঘর (বিপিও) এর এমএফএস শাখা নগদ ক্যাশ আউট চার্জ হ্রাস করে প্রতি এক হাজার টাকার জন্য ৯ টাকা নিচ্ছে। এই ন্যূনতম হার পেতে একজন গ্রাহককে নগদ অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে এবং ন্যূনতম ক্যাশ-আউটের পরিমাণ ২ হাজার ১ শ’ টাকা হতে হবে। ক্যাশ-আউট চাজের্র ওপরে, গ্রাহককে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১৫ শতাংশ হারে একটি সম্পূরক শুল্ক দিতে হচ্ছে। তবে, কেউ যদি অ্যাপটি ব্যবহার না করে মোবাইল অপারেটরদের ইউএসএসডি প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যাশ আউট করতে যান, তবে এই হার এক হাজার টাকার জন্য ১২.৯৯ টাকা এবং এখানে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করা হবে। ক্যাশ আউট চার্জ হ্রাস করতে নগদে এর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে আশীষ চক্রবর্তী বলেছেন, এটি তাদের গ্রাহকদের সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, তবে অন্যান্য এমএফএস অপারেটরদের চাপ অগ্রহ্য করে নগদ কতদিন এই অফার চালিয়ে যেতে পারবে। আশীষ বলেন, অন্যদেরও নগদের এই পদক্ষেপ অনুসরণ করা উচিৎ। কারণ স্বল্প হারে ক্যাশ আউট চার্জ লেনদেনকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলতে এবং বহুগুণে এ শিল্পের আকার প্রসারিত করতে পারে। নগদ চার্জ হ্রাস করলেও অন্যরা এখনো তা করতে অনিচ্ছুক। বরং তারা নগদের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।
নগদ বলেছিল, ক্যাশ আউট চার্জ একক অঙ্কে নামিয়ে আনার পরেও এই বিভাগ থেকে তাদের আয় এখনও একই আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘যুবতী রাধে’ বিতর্কে যা বললেন চঞ্চল চৌধুরী
পরবর্তী নিবন্ধএডিবি ঋণের প্রকল্পে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ