ইনসুলিন ব্যবহারে আরো সচেতন হওয়ার তাগিদ

আবিষ্কারের শতবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মশালায় বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৩ মার্চ, ২০২১ at ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ

ইনসুলিন হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। এর যথাযথ ব্যবহারে মানুষকে আরো বেশি সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। ইনসুলিন আবিষ্কারের শত বার্ষিকী উপলক্ষে এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডায়াবেটিস প্রিভেনশন এডুকেশন প্রোগ্রাম (ডিপিইডি)-এর উদ্যোগে গতকাল রাতে নগরীর একটি হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকর্তারা বিশেষজ্ঞ এঙপার্ট প্যানেল হিসেবে কর্মশালায় অংশ নিয়ে অভিমত দেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিইডি’র কনভেনর ও চমেক হাসপাতালের ডায়াবেটিস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার আহমদ মিলন।
প্রধান আলোচক হিসেবে ইনসুলিনের শরীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকর্ম সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। ইনসুলিন ব্যবহারে আরো বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীর শঙ্কা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। এই জন্য প্রতিরোধের জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন উপজেলায় চালু করা হবে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে মানুষকে কিভাবে আরো বেশি সচেতন করা যায়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে অভিমত দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম জাকারিয়া।
অনুষ্ঠানের কনভেনর ডা. শাহরিয়া আহমেদ মিলন ডিপিইপি গঠনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং এর কার্যক্রম ধীরে ধীরে তৃণমূল পর্যায়ে প্রসারের মাধ্যমে ডায়াবেটিস বিষয়ে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন মমতার এম ডি ও সাবেক লায়ন গভর্নর রফিক আহমেদ, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের সিএমও অধ্যাপক ডা. তারেক আল নাসের এবং কার্ডিয়াক সার্জন ডা. বিনায়েক চন্দ্র (নারায়ণ হেলথ, ভারত), মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক (এডমিন) ডা. নুরুল হক ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোরশেদ হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুল মান্নান রানা, রোগীর প্রতিনিধি মফিজুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক লিয়াকত আলী চৌধুরী, বিশিষ্ট শিল্পপতি মাস্টার এম এ কাশেম, চমেক হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা অভিজিৎ সাহা। ডা. উপমা মনসুরের সঞ্চালনায় কর্মশালায় ইনসুলিন আবিষ্কারের কাহিনী তুলে ধরেন অধ্যাপক ডা. নাসরিন। আরো উপস্থিত ছিলেন ডায়াবেটিস হসপিটালের কনসালটেন্ট ডা. রাশেদা বেগম, ডা. তৌফিক, ডা. রাহেলা হোসেন জলি, ডা. সাবিনা ইয়াসমিন, ডা. সৈয়দা শাহনাজ লিনা প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় ফ্রি খতনা ও কর্ণছেদন ক্যাম্প
পরবর্তী নিবন্ধনারীদের যেতে হবে বহুদূর