ইতিহাসের পাতায় মাথা উঁচু করে থাকবে পদ্মা সেতু

চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের অনুষ্ঠানে কামরুন মালেক

| রবিবার , ২৬ জুন, ২০২২ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট লায়ন কামরুন মালেক বলেছেন, ইতিহাসের পাতায় মাইলফলক হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে পদ্মা সেতু। তিনি গতকাল শনিবার চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের উদ্যোগে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও একাগ্রতা এবং বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালবাসার ফসল এই পদ্মা সেতু। এই পদ্মা সেতু স্থাপনের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেলবন্ধন সৃষ্টি হল।

দেশের উন্নয়নে এখন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি সাবিহা নাহার বেগম বলেন, আমাদের স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু আপামর জনসাধারণসহ সকল স্তরের মানুষের মেলবন্ধন তৈরির মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে। যার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজে বহুদূর এগিয়ে যাবে। চিটাগাং উইম্যান চেম্বার প্রেসিডেন্ট মনোয়ারা হাকিম আলী বলেন, এই সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে আবারো মাথা উঁচু করে দাঁড়ালো বাংলাদেশ।

আমি চট্টগ্রাম অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ডেউজি মউদুদ বলেন, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২১টির জেলার সাথে আমাদের একধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা ছিল। ২১টি জেলা মানে দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৬ কোটি মানুষ উন্নয়নের মূলধারা থেকে বঞ্চিত ছিল। এই সেতুর মাধ্যমে পদ্মার ওপারের জনগণের সাথে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ অনেক মসৃণ ও সহজতর হয়ে উঠবে। এখন আমরা সমষ্টিগতভাবে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারবো।

উইম্যান চেম্বার ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশাত ইমরান বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল মেরুদণ্ড খুলনা-মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের মাঝে একটি সমন্বিত যোগাযোগ ও সমন্বয় সৃষ্টি হবে এবং আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতির সঞ্চার হবে। বক্তব্য দেন, চিটাগাং উইম্যান চেম্বারের পরিচালক রেবেকা নাসরিন, পরিচালক নূর আক্তার জাহান, পরিচালক নূজহাত নূয়েরী কৃষ্টি, পরিচালক শাহেলা আবেদীন, পরিচালক আকলিমা আক্তার আঁখি, নারী উদ্যোক্তা সুমাইয়া কাদের।

অতিথিবৃন্দ কেক কেটে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন। শেষে সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সংগীত পরিবেশন করেন, সাংবাদিক শামীম আরা লুসি, ব্যারিস্টার সওগাতুল আনোয়ার খান, জাকিয়া তাসনিম লিপি, মিজান মোর্শেদ, আজিম উদ্দিন, হোমায়রা ইসলাম। পরে চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালি বের হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
পরবর্তী নিবন্ধরেহানা, জয়, পুতুল ও ববিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী