রেহানা, জয়, পুতুল ও ববিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধানমন্ত্রী

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ২৬ জুন, ২০২২ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে অতীতের অনেক অপপ্রচারের কথা স্মরণ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। গতকাল জাজিরায় বিশাল সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার এবং তাঁর পরিবারকে লক্ষ্য করে বিরূপ মন্তব্যের কথা তুলে ধরেন।

নিজের ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের বিপক্ষে থাকা একটি অংশের লজ্জাজনক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল তারা। তাদের মানহানি করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর তৎকালীন অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন এবং তৎকালীন যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকেও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হচ্ছে এই সব অপমানের জবাব।

উৎসবের ক্ষণে মেয়ের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি : বিডিনিউজ জানায়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের রঙিন উৎসবে আবেগ ছুঁয়ে গেল সবাইকে। সেতুর ফলক উন্মোচন করে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সঙ্গে সেলফিবন্দি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। গতকাল সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় সেতুর সার্ভিস এরিয়ায় সুধী সমাবেশ শেষ করে টোল দিয়ে প্রথম যাত্রী হিসেবে পদ্মা সেতু এলাকায় প্রবেশ করেন সরকারপ্রধান। এরপর বেলা ১২টার দিকে তিনি মাওয়া প্রান্তের ফলক উন্মোচন করেন।

এ সময় পুরো চত্বরে ওড়ানো হয় রঙিন আবীর। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী লাল গালিচায় ফটোসেশনে অংশ নেন। তার সঙ্গে হাঁটছিলেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও। এক পর্যায়ে নিজের মোবাইল বের করে মায়ের সঙ্গে সেলফি তোলেন তিনি। ছবি তোলা শেষে প্রধানমন্ত্রী তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজনের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ভিডিও কলে যুক্ত হন। ভিডিও কলেই মোবাইল ঘুরিয়ে হাসিমুখে পুরো এলাকা দেখান তিনি। প্রধানমন্ত্রী যখন ভিডিও কলে কথা বলা শুরু করেন, তখন পুতুলকে দেখা যায় ক্যামেরা হাতে মায়ের ছবি তুলতে। এরপর পুতুলকেও ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী, একসঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইতিহাসের পাতায় মাথা উঁচু করে থাকবে পদ্মা সেতু
পরবর্তী নিবন্ধটোল দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রথম যাত্রী শেখ হাসিনা