ইতালিতে নৌকাডুবিতে গুপ্তচরদের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

| রবিবার , ৪ জুন, ২০২৩ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

মাজোরি হ্রদে গত সপ্তাহে হওয়া নৌকাডুবির ঘটনাটি যেন কোনো গোয়েন্দা উপন্যাসেরই চিত্রায়ন। সুইস আল্পসের দক্ষিণে অবস্থিত, পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়, ছবির মতো সুন্দর হ্রদটিতে গত রোববার একটি ছোট নৌকা ডুবে ৪ জন মারা যান। এরকম দুর্ঘটনা খুব একটা বিরল নয়, ঘটার দুইএকদিনের মধ্যে লোকজন ভুলেও যায়। কিন্তু মাজোরির এই ঘটনাটির ক্ষেত্রে তেমনটা হচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ, নিহতদের পরিচয়। ৪ নিহতের তিনজনই যে সাবেকবর্তমান গুপ্তচর। খবর বিডিনিউজের।

সে কারণে ঘটনাটিকে ঘিরে রহস্যের আভাস পাচ্ছেন অনেকেই, ওই নৌকাডুবি নিয়ে অনেক প্রশ্ন নানান জল্পনাকল্পনাও উসকে দিচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। ২৮ মে দুর্ঘটনায় পড়ার সময় নৌকাটিতে ২৩ আরোহী ছিল বলে জানা গেছে। এই ধরনের নৌকাগুলো সাধারণত পর্যটকদের নিয়ে পুরো হ্রদ চক্কর দেয়। নৌকাডুবির পর বাকিরা বেঁচে ফিরতে পারলেও পারেননি ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সাবেক এক এজেন্ট, ইতালির দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও এক রুশ নারী। এই মাজোরি হ্রদের আশপাশেই ইতালির লম্বার্দি ও পিয়েদমন্ত এবং সুইজারল্যান্ডের রাজ্য টিসিনোর অবস্থান। লম্বার্দি সামরিকবেসামরিক কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে সক্ষম একাধিক কোম্পানির আবাসস্থল, আর সুইজারল্যান্ডকে অনেক গোয়েন্দাই তাদের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করেন বলে গুঞ্জন আছে। নৌকাটির বেশ কয়েকজন আরোহীর মাজোরি হ্রদের আশপাশের এলাকায় বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট আছে। স্থানীয় অনেক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে পর্যটকবাহী নৌকাডুবির সাধারণ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ইতালি আর ইসরায়েলের এজেন্টদের মধ্যে একটি গোপন বৈঠক চলছিল বলেও ধারণা ইতালির শীর্ষস্থানীয় অনেক গণমাধ্যমের। নৌকাডুবির ঘটনা লম্বার্দি, পিয়েদমন্ত ও টিসিনোতে বেশ সাড়া ফেলেছে।

যেন গজব নেমে আসে : ইতালির কৌঁসুলি কার্লো নসেরিনোকে কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ডুবে যাওয়ার সময় ওই নৌকাতে ইতালির ১৩ গুপ্তচর ও ইসরায়েলের ৮ গুপ্তচরের সঙ্গে নৌকাটির ক্যাপ্টেন ক্লদিও কারমিনাতি ও তার রুশ স্ত্রী ছিলেন। কারমিনাতি ও তার স্ত্রী কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলেও নিশ্চিত করেছেন নসেরিনো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমিশর সীমান্তের কাছে ৩ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষকরা চাকরি করেন, শিক্ষকতা নয়: মুনতাসীর মামুন