ইছানগর খালের ভরাট অংশ খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার তাগিদ

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে বেলার উকিল নোটিশ

| মঙ্গলবার , ১৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ইছানগর খাল দখল করে নির্মিত কারখানা সরিয়ে নিয়ে খালটি পুনঃরায় খনন করে দিতে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স, সি রিসোর্স কোম্পানি ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে উকিল নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির স্বাক্ষরিত উক্ত নোটিশে বলা হয়,চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী থানাধীন ইছানগর খালটি ১নং খতিয়ানের বিএস ইছানগর মৌজার ১৫০৯,১৫১১,১৫১৪ ও ১১১৬ দাগাদির মধ্যে প্রবাহিত ছিল। কর্ণফুলী নদীর এই শাখা খালটি ইছানগর এলাকার পানি প্রবাহের একমাত্র অবলম্বন ছিল। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস বা সাগর উত্তাল হলে উক্ত খালকে সাম্পান মাঝিরা বংশ পরম্পরায় পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করে আসছিল। কিন্তু উল্লেখিত তিন প্রতিষ্ঠান দেশের আইনের তোয়াক্কা না করে জোয়ার-ভাটার স্রোতধারা প্রবাহমান থাকা খালটি ভরাট করে সেখানে কারখানা ও ভবন তৈরি করেছে। যা দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়- বেলার প্রতিনিধির পরিদর্শনে দেখা যায়, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স ১৫১৪ দাগের পুরো অংশ এবং ১৫১৩ দাগের অংশ দখল করে কারখানা তৈরি করেছে। সী রিসোর্স লি. ১৫১৩ দাগের ১৫ ফুট দখল করে কারখানা তৈরি করেছে। নোটিশে খালের ভরাট অংশ খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা দাবি জানানো হয়। সাত দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব না দিলে দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোটিশটি ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তর,পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ও বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

পূর্ববর্তী নিবন্ধকথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক আর নেই
পরবর্তী নিবন্ধইউনিট সম্মেলন ‘একতরফা’ হচ্ছে বলে অভিযোগ