ইউরো কাপের শেষ আটে ইংল্যান্ড, স্পেন

স্পোর্টস ডেস্ক | মঙ্গলবার , ২ জুলাই, ২০২৪ at ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ

স্লোভাকিয়া রূপকথা থামিয়ে দিয়ে ইউরো কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। অথচ নির্ধারিত সময়ের ৯৫ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েছিল স্লোভাকিয়া। কিন্তু শেষ মুহুর্তের গোলে তাদের কপাল পুড়ে। জার্মানির পশ্চিমের শহর গেলসেনকিরশেনে রোববার রাতে অনুষ্ঠিত শেষ ষোলোর অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ২১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে ইভান শারাঞ্জ স্লোভাকিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৯৫তম মিনিটে সমতা টানেন বেলিংহ্যাম। অতিরিক্ত সময়ে ব্যবধান গড়ে দেন কেইন। খেলা শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিটে দুবার ইংল্যান্ডের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় স্লোভাকিয়া। দাভিদ হেঙ্কোর একটি কোনাকুনি শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। গ্রুপ পর্বে মাত্র দুটি গোল করা ইংল্যান্ড প্রথম সুযোগ পায় নবম মিনিটে। বেলিংহ্যামের পাস বক্সে পেয়ে অনেক ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন ডিফেন্ডার কিরান ট্রিপিয়ার। দ্বাদশ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে স্লোভাকিয়া। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন লুকাস হারাসলিন। তার শট স্লাইডে ঠেকান ডিফেন্ডার মার্ক গেয়ি। ২৫ মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেনি ইংল্যান্ড। দারুণ এক আক্রমণ থেকে এগিয়ে যায় স্লোভাকিয়া। দুই সতীর্থ ঘুরে বক্সের বাইরে বল পান দাভিদ স্ত্রেলেক। তার পাস বঙে পেয়ে সঙ্গে লেগে থাকা খেলোয়াড়ের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন শারাঞ্জ। প্রথমার্ধে ৭৭ শতাংশ সময় পজেশন রেখে গোলের জন্য ৬ শট নিয়ে একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি ইংল্যান্ড। স্লোভাকিয়ার ৪ শটের একটি ছিল লক্ষ্যে। সেটিই সফল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে তুলনামূলক ভালো খেলে ইংল্যান্ড। ৪৯ মিনিটে স্লোভাকিয়ার জালে বল পাঠান ফিল ফোডেন। কিন্তু ভিএআরে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোল। ৮১ মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ২০ গজ দূর থেকে ডেকলান রাইসের শট পোস্টে লাগে। ফিরতি বল উড়িয়ে মারেন কেইন। বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে, ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বেলিংহ্যামের ওই গোলে টিকে থাকে ইংল্যান্ড। কর্নারের পর গেয়ির হেড পাসে ওভারহেড কিকে বল জালে পাঠান বেলিংহ্যাম। অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে আবার উল্লাসে মেতে ওঠে ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। দলকে এগিয়ে নেন কেইন। বক্সে ইভান টনির হেড পাসে হেডেই বল জালে পাঠান ইংল্যান্ডের রেকর্ড স্কোরার। ১০৫ মিনিটে একটি সুযোগ পায় স্লোভাকিয়া। তবে কাছ থেকে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি পেতার পেকারিক। এরপর বেলিংহ্যাম ও কেইনকে তুলে নিয়ে রক্ষণে শক্তি বাড়ান ইংল্যান্ড কোচ। বেশিরভাগ সময় খেলা হতে থাকে ইংল্যান্ডের অর্ধে। তবে স্লোভাকিয়া পারেনি ম্যাচে ফিরতে। শেষ বাঁশি বাজতেই হতাশায় মাঠে শুয়ে পড়েন তাদের অনেক ফুটবলার। ইংল্যান্ড শিবিরে তখন টিকে থাকার স্বস্তি। পরের খেলায় জর্জিয়াকে ৪১ গোলে বিধ্বস্ত করে স্পেন। শুরুতেই নরমান্দের আত্মঘাতী গোলে জর্জিয়া এগিয়ে গেলেও স্পেনকে সমতায় ফেরান রদ্রি। দ্বিতীয়ার্ধে ফাবিয়ান রুইস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর গোল পান নিকো উইলিয়ামস ও দানি ওলমো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিতদের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধবিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট সেপ্টেম্বরে