ইউনিট কমিটিতে মারা যাওয়া দুই নেতার নামও

উত্তর জেলা বিএনপি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

তিন মাস আগে মারা যাওয়া দুই বিএনপি নেতারও স্থান হয়েছে সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আওতাধীন দুইটি ইউনিট কমিটিতে! বিষয়টি নিয়ে দলটির তৃণমূলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সমালোচনা করছেন অনেকে। জানা গেছে, গত ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আওতাধীন ১৫টি ইউনিট কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার। তবে তা প্রকাশ হয় পরদিন। অনুমোদিত কমিটিগুলোর মধ্যে রয়েছে সন্দ্বীপ পৌরসভা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলাও।
৪৮ সদস্য বিশিষ্ট সন্দ্বীপ পৌরসভা কমিটিতে ১৮ নম্বর সদস্য করা হয় মামুন ফেরদৌস স্বপনকে। ৫৯ সদস্য বিশিষ্ট রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কমিটিতে ২২ নম্বর সদস্য করা হয় মো. শামসুল আলম তালুকদার কোম্পানিকে। অথচ এরা দুজনই বেঁচে নাই!
স্থানীয়দের কাছ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর সকাল ১১ ঘটায় মারা যান মো. শামসুল আলম তালুকদার কোম্পানি। এর আগে একই বছরের ১৪ অক্টোবর বিকেল ৩টায় মারা যান মামুন ফেরদৌস স্বপন। মৃত্যুকালীন সময়ে শামসু কোম্পনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৪ নং দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং ফেরদৌস সন্দ্বীপ পৌরসভার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার দৈনিক আজাদীকে বলেন, তৃণমূল থেকে নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। গত বছরের জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন নেতার পক্ষ থেকে দীর্ঘ তালিকা জমা দেয়। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় বেশি সংখ্যক নাম জমা পড়ে। শতাধিকের উপর নাম ছিল সেখানে। যার কারণে ঝামেলাটা হয়েছে। আজ (গতকাল) সেটা সংশোধন করে দিয়েছি।
সদ্য ঘোষিত সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যডভোকেট মো. আবু তাহের দৈনিক আজাদীকে বলেন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অনেক আগে থেকে। বিভিন্ন গ্রুপের পক্ষ থেকে তালিকা জমা দেয়। সেখানে মামুন ফেরদৌস স্বপনের নামও ছিল। তিনি পরে মারা গেছেন। একাধিক তালিকা জমা দেয়ায় তার মারা যাওয়ার বিষয়টি আকবর ভাইয়ের (গোলাম আকবর খোন্দকার) নলেজে ছিল না।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত দৈনিক আজাদীকে বলেন, কমিটি আরো কয়েক মাস আগে প্রস্তুত হয়েছিল। কিন্তু প্রকাশ হয়েছে পরে। কমিটি প্রস্তুতকালীন সময়ে শামসুল আলম কোম্পানি জীবিত ছিলেন। তাছাড়া এমন না যে তিনি বাইরের লোক। তিনি তো একটি ইউনিয়নে বিএনপির সভাপতি ছিলেন। এখন বিষয়টি সামনে আসার পর তার জায়গায় আরেকজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে মৃত ব্যক্তিকে কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। নূর হোসাইন নূরু নামে একজন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেন, “মৃত ব্যক্তি ভোট দিতে পারলে কমিটিতেও আসতে পারে!” আরেকজন লিখেন- “মরহুম শামসুল আলম কোম্পানিকে মূল্যায়ন করায় উনার রূহের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি”।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউচ্চ গতির ইঞ্জিন, আধুনিক বগিতে চলবে আরেকটি ট্রেন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-ইতালি রুট গতিশীল হচ্ছে