আল্লামা তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.) ছিলেন ইসলামের অনন্য সংস্কারক ব্যক্তিত্ব

জামেয়া ময়দানে ওরস মাহফিলে বক্তারা

| রবিবার , ১৭ জুলাই, ২০২২ at ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

আন্‌জুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাধক আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.)’র ওফাত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ৩০তম সালানা ওরস মোবারক মাহফিল যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গত ১৫ জুলাই ষোলশহরস্থ জামেয়া আহদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্‌রাসা ময়দানে আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, ভারত, সৌদিআরব, মিয়ানমার, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, খানকাহ্‌ শরীফসহ দেশের বিভিন্ন জেলা/ উপজেলায় সালানা ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রহ.) মুসলমানদের ক্বোরআন-সুন্নাহর আলোকে শরীয়ত ও তরিকতের সমন্বয়ে জীবন গঠনের পথ নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি ছিলেন রাসূল আদর্শের বাস্তব প্রতিচ্ছবি-মুসলিম মিল্লাতের উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা, দ্বীন ইসলামের অনন্য সংস্কারক ব্যক্তিত্ব। হুজুর কেবলা (রহ.) বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, খানকা শরীফ প্রতিষ্ঠিত করণ ও জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) প্রবর্তনসহ অসংখ্য সংস্কারমূলক কর্মসূচি দিশেহারা মানবতাকে খোদাভীরু ও তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত করে ইনসানে কামিলে পরিণত করেন। বিশেষ করে তাঁর প্রতিষ্ঠিত গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ আজ দেশে বিদেশে দিকভ্রান্ত তরুণ-যুবকদের ইসলামের সঠিক পথ ও মতে ঐক্যবদ্ধ করছে। গাউসিয়া কমিটির নিবেদিত কর্মীগণ মহামারী করোনায় আক্রান্ত সকল ধর্মের মৃতদের দাফন-কাফন ও অগ্নিদগ্ধ রোগীদের সেবা প্রদান এবং বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করে একনিষ্ঠ সেবকের ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা এ মহান অলিয়ে কামিলের জীবন দর্শন অনুসরণ ও তাঁর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আলোচনায় অংশ নেন- গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্‌রাসার সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ, উপাধ্যক্ষ ড. আবু তৈয়ব মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, হাফেজ সোলায়মান আনসারী, হাফেজ মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তৈয়ব চৌধুরী, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ, নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, আনজুমান ট্রাস্টের এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি এস এম গিয়াস উদ্দিন শাকের, মোহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির মহাসচিব শাহাজাদ ইবনে দিদার, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মুহাম্মদ নুরুল আমিন, শেখ মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, লোকমান হাকিম মুহাম্মদ ইব্রাহীম, মুহাম্মদ আবদুল হামিদ, মুহাম্মদ আবদুল হাই মাসুম, আবদুল মোনাফ সিকদার, মুহাম্মদ কমরুদ্দিন সবুর, আশেক রসূল খান বাবু, মাওলানা মুহাম্মদ জালালুদ্দিন, মনোয়ার হোসন মুন্না, আনজুমান রিসার্স সেন্টারের মহাপরিচালক মাওলনা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান, কেন্দ্রীয় গাউসিয়া কমিটির যুগ্মমহাসচিব অ্যড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, মুহাম্মদ মাহবুবুল হক খান, এস এম মাহাবুব এলাহী সিকদার, ছাবের আহমদ, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, খায়ের মোহাম্মদ, অ্যাড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মাস্টার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, আনজুমান ট্রাস্টের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মরহুম আবু মোহাম্মদ তবিবুল আলম(রহ.)’র সন্তান মাহমুদ নেওয়াজ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ওরস মোবারক উপলক্ষে খানকা শরীফে বেলা ৩টা হতে খতমে কোরআন, খতমে গাউসিয়া শরীফ, খতমে মজমুআহ্‌-এ সালাওয়াতে রাসূল, খতমে বোখারী শরীফ আদায় করা হয়। বাদে এশা সালাত-সালাম ও আখেরী মুনাজাত শেষে তাবারুক বিতরণ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবস্টন বাংলা মেলা ২৩ জুলাই
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় ৬ মামলার পলাতক আসামি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার