কৃষক নেতা ও বাংলাদেশের সাবেক পানিসম্পদ ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এবং আমেনা বেগমের কনিষ্ঠপুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত। বরিশালের কালীবাড়ি রোডে নিজ বাড়িতে ১৯৬৪ সালের ২৯ শে নভেম্বর আরিফ সেরনিয়াবাত জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার সহপাঠী এবং বন্ধু ছিলেন শেখ রাসেল। আরিফ পরিবার থেকে শিক্ষা পেয়েছিলেন ভালো খাবার রান্না হলে গরিবদের বিতরণ করতে হয়। তাই তিনি করতেন। তিনি ভালো ফুটবল খেলতেন। বাম হাতে হারমোনিয়াম বাজিয়ে নিজেই সুর তুলতেন। ডাকটিকেট সংগ্রহ করতেন। একবার বঙ্গবন্ধুর সামনে গেয়েছিলেন, ‘মুজিব বাইয়া যাওরে, নির্যাতিত দেশের মাঝে/ জনগণের নাওরে মুজিব বাইয়া যাও রে’। গানটি শোনার পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে শেখ কামাল আরিফকে ছায়ানটে ভর্তি করিয়ে দেন। ‘আরিফ’ নামের অর্থ বিজ্ঞ, জ্ঞানী। নামের সাথে তার জীবন মিলে যায়। জন্মগতভাবেই তিনি ছিলেন প্রতিভাবান। খুব মিশুক ছিলেন আরিফ ১৯৭৫ এর ১৪ই আগস্ট বিকেলে আরিফ, রাসেল, সুকান্ত আরো কয়েকজন বাচ্চার সাথে খেলনা পিস্তল দিয়ে চোর পুলিশ খেলছিল। কেউ জানতো না ঐ রাতেই সেই খেলনা পিস্তল সত্যিকারের পিস্তল হয়ে তিনটি কচি অবুঝ প্রাণ কেড়ে নিবে। আরিফ বড় হয়ে হতে পারতো একজন ভালো সংগীত শিল্পী। এখনো তার ব্যবহৃত হারমোনিয়াম আছে। কিন্তু সেখানে সুর তুলে না আরিফ। স্তব্ধ হয়ে আছে সেই সুর। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে আরিফের প্রাণ কেড়ে নেয়। বনানীর কবরস্থানে বাবার সাথে আরিফকেও দাফন করা হয়।