আবার তোরা মানুষ হ

সালমা বিনতে শফিক | সোমবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

জগতের সকল প্রাণী জন্মেই স্বজাতির পরিচয় নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে যায়, কেবল মানুষ ছাড়া। একজন মানব শিশু কিংবা মানব সন্তানকে মানুষ হতে হলে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়। একটা সময় বলা হত, লেখাপড়া শিখে মানুষ হওয়া যায়। কর্মসংস্থানের জন্য মোটামুটি ভদ্রস্থ একটা কাজ পেয়ে গেলেও ‘মানুষের মতো মানুষ’ হওয়া উদযাপন করতে কোন বাধা থাকে না। কিন্তু একুশ শতকে এসে দেখা যাচ্ছে শিক্ষা, বড় পদ থাকলেই আমরা ‘মানুষ’ হতে পারছি না। শিক্ষিত, আধুনিক, উন্নত, নতুন সংযোজন ডিজিটাল- কতো না বাড়তি পরিচয় একালের মানব সন্তানদের! সকলের হাতের মুঠোয় পৃথিবী। চোখের পলকে দিনকে রাত কিংবা রাতকে দিনে পরিণত করে ফেলতে পারি আমরা। এত সাফল্য চারিদিকে! তবু কি যেন নেই! মানবিকতার প্রচন্ড খরা এখন সমাজের সর্বত্র। এতো আলো চরাচর জুড়ে! বিদ্যুতের আলো, নিয়নবাতি, আতশবাজি- আলোর ঝলকানি লেগে থাকে বছর জুড়ে। তবু কাটেনা মনের আঁধার। একুশ শতকের মহা উন্নতির কালে শিক্ষা, শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির বিস্ময়কর উৎকর্ষের যুগে আমাদের সমাজে বিভাজন রয়ে গেছে গাত্রবর্ণের ভিত্তিতে, নৃতত্ত্ব ও জাতীয়তার ভিত্তিতে, ধর্মের ভিত্তিতে। সন্দেহ নেই সকল বিভাজনের পেছনে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভক্তিই কাজ করে যায় প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে।
সাম্প্রতিককালে চলমান ধর্মীয় সহিংসতার বাড়াবাড়ি দেখে বড় ক্ষোভ ও বেদনা নিয়ে লিখতে বসা।
“হিন্দু না ওরা মুসলিম? ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন
কাণ্ডারি, বলো ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র” ( কাণ্ডারি হুঁশিয়ার)
অন্তত একশো বছর আগে রচিত কাজী নজরুল ইসলামের অমর পঙক্তি ক’টিকে প্রাণে ধরতে পারলে বাংলাদেশ কেবল নয়, পৃথিবীর কোথাও সাম্প্রদায়িকতা বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকতো না। ‘নজরুলের এই কাব্যবাণী বিফলে গেল’ বলে একালের কবি’র ও তাই আক্ষেপের শেষ নেই। কিন্তু ধর্মের অজুহাত ধরে সৃষ্ট সহিংসতার সঙ্গে প্রকৃতই ধর্মের কোন সংশ্রব আছে কিনা, তা তলিয়ে দেখার সময়ও নেই আমাদের।
আমরা সকলেই জানি- কোন ধর্মই প্রতিহিংসাকে প্ররোচিত করেনা। ধর্ম এত ঠুনকো কিছু নয় যে কেউ একজন কিংবা একদল মানুষ ধর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে, কটাক্ষ করলে ধর্মের অবমাননা হয়ে যাবে। ধর্ম কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তিও নয়। ধর্মের অবামাননার অজুহাতে বিরূপ মন্তব্যকারীর প্রতি আক্রোশে ফেটে পড়া, কিংবা আরও উৎসাহী হয়ে তার ঘরবাড়ি এমনকি পুরো পাড়ার ওপর হামলা করা কোন মানুষের কাজ হতে পারে না। অতি সমপ্রতি সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর উগ্রপন্থীদের প্ররোচনায় যে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই, যদিও এমন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। রামু, উখিয়া, টেকনাফ হয়ে নাসিরনগর, মুরাদনগরে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনাগুলো আমাদের বাংলাদেশের চিরাচরিত অসাম্প্রদায়িক চরিত্রে কলঙ্কতিলক হয়ে আছে, যদিও এসবের সঙ্গে ধর্ম বা ইসলামের কোন যোগসূত্র নেই ।
মহানবী (সা:) এর অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আচরণ কেমন ছিল, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কেউ তাকে অপদস্থ করলে এমনকি আঘাত দিলেও তিনি কেমন করে ক্ষমা করে দিতেন, সেসব কথা একালের বিভেদ সৃষ্টিকারীরা জানলেও মানতে চায় না। আমাদের কালে ধর্ম কিংবা ইসলামের পোশাক পরিধান করে ইসলাম ও মহানবীর সম্মান রক্ষার নামে সহিংসতাকে উস্কে দিয়ে চলেছেন এক শ্রেণির ধর্ম ব্যবসায়ী। সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক ও প্রকৃত মুসলমানদের এইসব উন্মাদনায় সমর্থনতো থাকেইনা বরং হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় ক্রমাগত। সমাজে চলমান অস্থিরতা নিরসনে কিছু করতে না পারার অসহায়ত্ব প্রশ্ন তোলে- কে আমি? এই সমাজে আমার অবস্থানই বা কোথায়? কেন বারবার অপশক্তি জয়যুক্ত হয়ে যায়? নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা যা খুশি করে যাবে, সেজন্যই কি লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা?
প্রতিবারই দুষ্কৃতিকারীদের তাণ্ডবের পর গণমাধ্যমে ঝড় ওঠে। নানা নিবন্ধ রচিত হয় ধিক্কার জানিয়ে। দু-চার দিন পরই থিতিয়ে যায় উত্তেজনা। কারণ নতুন কোন বিষয় নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় গণমাধ্যমে। কেউ কেউ অপকর্মের হোতাদের আক্রমণ করেন, আবার কেউবা সরাসরি পুরো সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের প্রতি আঙুল তোলেন। অনেকেই আবার ঠুনকো সব অজুহাত দাঁড় করিয়ে ফেলে আক্রমণকারীর পক্ষে। আক্রান্ত নয়, আক্রমণকারীকে বাঁচানোই হয়ে পড়ে তাদের পরম লক্ষ্য। এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নব্য অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, যারা ধর্মান্ধতা নয়, উপড়ে ফেলতে চায় ধর্মকেই। ধর্মের নামে সহিংসতা সৃষ্টিকারীদেরকে যদি ধর্মের রক্ষক বলা হয়, আরও খোলাখুলিভাবে ‘ইসলামের রক্ষক’ বলে চিহ্নিত করে প্রকৃত ধার্মিকদেরকে কোণঠাসা করে ফেলা হয় সমাজে, তাহলে চলমান সমস্যার মূলোৎপাটন করা কোনকালেই সম্ভব হবে না। দুঃখের বিষয়- তা-ই হয়ে আসছে আমাদের সমাজে, যুগ-যুগ ধরে। ফলে সমস্যার প্রকৃত স্বরূপ উদ্ঘাটিত হয়না, বরং সমস্যা আরও জটিল হয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে সমাজটাকে। অসহায় জনতা চেয়ে চেয়ে দেখে একশ্রেণির বোদ্ধামহল বিভক্তি ও ঘৃণাকে বাঁচিয়ে রাখতেই মরিয়া। সমস্যার প্রকৃত স্বরূপ উদ্ঘাটন ও সমস্যা থেকে উত্তরণে সামাজিক অনৈক্য ও বিভ্রান্তি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদের ওপর আঘাত হানা দুষ্কৃতিকারীদের প্রকারান্তরে বাঁচিয়েই দেয়।
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি, মানুষের জীবন, বাসস্থান ও ধর্মালয়ের ওপর হামলা করার মতো প্রতিটি ভয়াবহ ও পৈশাচিক ঘটনার সূত্রপাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোন বক্তব্য (স্ট্যাটাস) হতে। পৃথিবীর আর কোথাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কাউকে নিগৃহীত হতে শোনা যায় না। জাগতিক কাজকর্ম ফেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুঁদ হয়ে থাকা জনগোষ্ঠী মাদকাসক্তের মতোই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আমরা যে আজও উপযুক্ত হইনি, সভ্য হইনি, এসব ঘটনা কি তারই প্রমাণ বহন করে না? ডিজিটাল বাংলাদেশ কি তবে চোখের পলকে ঘৃণা ও সহিংসতার বিস্তার ঘটিয়েই নামকরণের সার্থকতা খুঁজে নেবে?
সৃষ্টিকর্তা একজনই, যে নামেই তাঁকে ডাকি না কেন। সকল মানুষ তাঁর হাতে সৃষ্ট। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-ইহুদী… প্রকৃতি পূজারী, অগ্নি পূজারী… হাজারও ধর্মের মানুষ আছে পৃথিবীতে। প্রার্থনার রীতিনীতিতে কিছু তফাৎ থাকলেও সকল ধর্মেই শান্তি, সহনশীলতা, সহমর্মিতার কথা বলা হয়। তবু কিছু বিকৃত রুচির মানবসন্তান অতি ধার্মিকতার আভরণে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সমাজবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ে, সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে আত্মপ্রসাদ লাভ করে। উগ্র সাম্প্রদায়িক আচরণ করে ধর্ম রক্ষার গুরুদায়ভার কেমন করে ওদের কাঁধেই পড়ে, সে এক বড় প্রশ্ন। তদুপরি এই উন্মাদনায় ধর্মের মান যে বাঁচে না সেই বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক চেতনা তাদের কখনই থাকে না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা তাদেরকে সেই শিক্ষা গ্রহণ করতে দেয় না। আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার বহুমুখীতা ও বৈষম্য এই বিভাজন সৃষ্টির জন্য বহুলাংশে দায়ী। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র সকলের ওপরই এর দায় বর্তায়।

কে না জানে, পৃথিবীর ইতিহাসে কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কিংবা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে ধর্মের কোন সংযোগ নেই! আছে রাজনৈতিক উন্মাদনা; সমাজে উত্তেজনা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে একটা সুযোগ নেয়া, যাকে রাজনীতির ভাষায় বলা হয় ‘ফায়দা লোটা’। শাল্লা’র ঘটনা কিংবা তার পূর্ববর্তী কোন ঘটনাতেই ধর্ম নেই, আছে রাজনীতি; প্রভাব ও শক্তির মহড়া দেখানোর অপচেষ্টা।
‘ভালোবাসার ক্ষমতা যেদিন ক্ষমতার প্রতি ভালোবাসাকে ছাড়িয়ে যাবে’ সেদিনই তথাকথিত শক্তির মহড়া প্রদর্শন সমাপ্ত হতে পারে। উনিশ শতকের সেরা ইংরেজ রাজনীতিবিদ গ্ল্যাডস্টোনের মতো সেদিনের প্রতীক্ষায় আছি। কিন্তু আমাদের অমিত শক্তিধর যুবকদের সেসব মহান বাণী শিক্ষা না দিয়ে বিরুদ্ধ শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে অনেকে। ওরা জানতেও পারে না ওদের ভেতরের সকল শুভশক্তি কেড়ে নিয়ে ওদের মাঝে সংগোপনে বপন করে দেওয়া হয় অশুভ শক্তির বীজ।
সাধারণ নাগরিক ও যুবশক্তির মাঝে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণ অনুসন্ধান করে তা নিরসনের জন্য সমাজবিজ্ঞানীরা কি কোন দিকনির্দেশনা দেবেন না? সহিংসতা সৃষ্টিকারী, দুষ্কৃতিকারীদের প্রতি কেবল ঘৃণা, ক্ষোভ আর ধিক্কার জানিয়েই আমরা নাগরিক দায়িত্ব পালন করে যাব? ওদেরকে ফেরাতে কোন চেষ্টাই কি আমরা করবো না? ওদের মনের আঁধার দূর করে আলোকের ঝর্নাধারায় ধুইয়ে দেব না? ওদেরকে মানুষ করার জন্য কিছুই কি করার নেই সমাজের?
এবারের পুজোর ছুটিতে স্থানীয় ইতিহাস অনুসন্ধানে গ্রামে গিয়েছিলাম। এক দুপুরে দাওয়াত পড়ে মামাতো বোনের বাড়ি। মামাতো বোনের যুবক পুত্রের সঙ্গে লেপটে আছে এই কিশোর; মাম মামা ডাকে। দুটিতে দারুণ ভাব। নাম ‘ক্যাভেন’ শুনে অবাক হই। হ্যাঁ, ওর নাম ক্যাভেন কুইয়া। প্রতিবেশী খ্রিষ্টান বাড়ির সন্তান ক্যাভেন। খাবার সময় মামার সঙ্গে হাতমুখ ধুয়ে বসে যায় এক টেবিলে। আমার মামাতো বোন একে একে ভাত বেড়ে দেয় সবার থালায়। ধার্মিক মুসলমান পরিবারের সন্তান বোনটি আমার কোন উচ্চশিক্ষিত নারী নয়। খবরের কাগজ পড়ে না, ভারী ভারী তত্ত্বকথা জানে না। সাম্প্রদায়িকতা শব্দটির সঙ্গেও পরিচিত নয় সে। ওর ছেলেমেয়ের সঙ্গে হিন্দু, খ্রিষ্টান বন্ধু ও প্রতিবেশীর সন্তানরা যখন-তখন বাড়ি চলে আসে, ওরাও চলে যায় ও-বাড়ি, সে-বাড়ি। সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ায়নি ওদের মাঝে। অথচ আমাদের মহাজ্ঞানী বুদ্ধিজীবীগণ কেউ ধর্মের পোশাক পরে, আবার কেউবা প্রগতির পোশাক পরে ক্রমাগত সেই বিষ ছড়িয়ে চলেছেন সমাজজুড়ে।
হাতে হাত রেখে চলায় আনন্দ, কিন্তু হাতাহাতিতে আনন্দ নেই; গলাগলি করে চলায় সুখ, কিন্তু গালাগালিতে কোন সুখ নেই- এই কথাগুলোও এবারের ছুটিতে নতুন করে জানা হল এক ধর্মপ্রাণ নিকটাত্মীয়র কাছ থেকে, যিনি চিরটাকাল যন্ত্র আর কবিতার মেলবন্ধনের যুদ্ধে নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে।
গ্রাম পরিভ্রমণ শেষে পরদিন ভোরে রওনা করি যান্ত্রিক শহরের দিকে। পথে গাড়িচালকের কাছে শুনতে পাই আগের দিন কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর, অমানবিক, হৃদয়বিদারক ঘটনার কথা। এরপর দেশজুড়ে যা কিছু ঘটে গেল তা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও অবিশ্বাস্য নয়। ঈশ্বর সবসময় ভদ্রপল্লীতে থাকেন বলেই হয়তো ঘর পোড়ানোর উৎসবের জন্য জেলেপল্লীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। লুটপাটের এই মহোৎসবে ধর্মকে টেনে আনার মতো অধর্ম আর হয় না। তবে কেউ না কেউতো এর সুফল ভোগ করে। ওরা কারা? ওরা ‘সর্প হইয়া দংশন করে, ওঝা হইয়া ঝারে’, ওরা ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে’, ওরা ‘বর্ণচোরা’ রঙ বদলায় দিনে রাতে। ওদের পতন নেই, বিনাশ নেই। কেবল নতুন দিনের আলোর পাখি আমাদের তরুণ-যুবারা ওদের হাতের পুতুল না হলেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে সুযোগসন্ধানী সমাজবিরোধী অশুভশক্তি। অমিত সম্ভাবনাময় আমাদের সন্তানেরা প্রকৃত মানুষ হয়ে সাম্য ও মানবতার জয়গান গাইবে, সেদিন হয়তো খুব দূরে নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের রাহাত্তারপুল শাখা নতুন ঠিকানায়
পরবর্তী নিবন্ধব্লুমংক