আজ চৈত্র অবসান

সিআরবি শিরীষতলায় বর্ষ বিদায়ের আয়োজন

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

বর্ষ হয়ে আসে শেষ, দিন হয়ে এল সমাপন/ চৈত্র অবসান…/ গাহিতে চাহিছে হিয়া পুরাতন ক্লান্ত বরষের/ সর্বশেষ গান।’ কবিগুরুর পঙতিগুলোর মতোই চারদিকে বাজছে বর্ষবিদায়ের সুর।

আজ চৈত্রসংক্রান্তি। ঋতুরাজ বসন্তের যেমন শেষ দিন, ঠিক তেমনি চৈত্রেরও। বাংলার আকাশে আজ বঙ্গাব্দ ১৪২৯এর শেষ সূর্যোদয়। অতীত বছরের সব জরাজীর্ণ আর মলিনতাকে বিদায় জানাবে বাঙালি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের প্রধান উৎসব হলেও কালের প্রবাহে এটি এখন নাগরিক জীবনেও স্থান করে নিয়েছে। এ উপলক্ষে দেশজুড়ে এখন চলে নানা ধরনের মেলা, উৎসব। আয়োজন করা হয় শোভাযাত্রাসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বর্ষবিদায় উপলক্ষে আজ নগরীতে থাকছে ব্যাপক আয়োজন। আগামীকাল সকালে ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। শুরু হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। নগরীর সিআরবি শিরীষতলায় নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে এবার পঞ্চদশতম বারের মতো বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় শিরীষতলা মঞ্চে বেলুন উড়িয়ে ১৪২৯ বঙ্গাব্দের বিদায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন নববর্ষ উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। এ সময় নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রামের নির্বাহী কমিটি ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে ডিসি হিলে এবং শিল্পকলা একাডেমিতেও ১৪২৯ বঙ্গাব্দের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে বাংলার পথে প্রান্তরে বসে মেলা। বর্তমানে শহুরে সভ্যতার বিস্তৃতির কারণে আবহমান গ্রামবাংলার সেই আনন্দমুখর পরিবেশে কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে এখন শহর ও তার আশপাশের এলাকায় নগর সংস্কৃতির আমেজে চৈত্রসংক্রান্তির উৎসব হয় ও মেলা বসে, যা এক সর্বজনীন মিলনমেলার রূপ নিয়েছে।

সিআরবি শিরীষতলায় নববর্ষ উদযাপন পরিষদ: নগরীর সিআরবি শিরীষতলায় নববর্ষ উদযাপন পরিষদ, চট্টগ্রামের উদ্যোগে আজ ১৪২৯ বঙ্গাব্দের বিদায় অনুষ্ঠানের পর আগামীকাল পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হবে বেলা ২টা থেকে। এতে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং আবৃত্তি ও নৃত্যদলগুলো তাদের দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপন করবে। দুপুর ১২টায় থাকছে নববর্ষ উদ্‌যাপন পরিষদের প্রথম আহ্বায়ক, গবেষক ও ধ্বনিবিজ্ঞানী ড. মনিরুজ্জামানের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক প্রাপ্তিতে পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান।

উল্লেখ্য, রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবারও ঐতিহ্যবাহী সাহাবউদ্দীনের বলীখেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সীমিত পরিসরের সাংস্কৃতিক আয়োজনে শুরুতেই থাকবে বায়োলিনিস্ট চিটাগাংয়ের পরিবেশনা। এরপর একেএকে মঞ্চে নিজস্ব পরিবেশনা নিয়ে থাকবে সংগীত ভবন, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, সুন্দরম, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, সুর সাধনা, উদীচী চট্টগ্রাম, নটরাজ, বাংলাদেশ রেলওয়ে সাংস্কৃতিক ফোরাম, শব্দনোঙর আবৃত্তি পাঠশালা, স্বরলিপি, ওডিসি অ্যান্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার, সৃজামী, অদিতি সংগীত নিকেতন, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, চারুতা নৃত্যকলা একাডেমি, রাগেশ্রী, নির্মাণ আবৃত্তি সংগঠন, বঙ্গবন্ধু শিশুকিশোর মেলা, ছন্দানন্দ, শিল্পাংকন, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, নৃত্যনীড়, একুশে মানবিকতা ও আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র। সবশেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচবির ভর্তি আবেদনে সময় বাড়ল ২ দিন