জাহাজে পণ্য সরবরাহসহ ঠিকাদারি কাজের দাবিতে শিপিং অফিসে একদল যুবকের চড়াও এবং হুমকি ধমকির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে আগ্রাবাদের অফিসপাড়ায় আতংক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একদল যুবক গতকাল দুপুরে আগ্রাবাদে বহুতল ভবন আস–সালাম টাওয়ারের অষ্টম তলায় ইউনিওশন শিপিং লাইন্স লিমিটেডের অফিসে চড়াও হয়। তারা মালিকদের গালিগালাজ করে এবং খুঁজতে থাকে। তাদের ভেন্ডরের কাজ (জাহাজে পণ্য সরবরাহ ও ঠিকাদারি) না দিয়ে আগ্রাবাদে কী করে ব্যবসা করে তা দেখে নেবে বলেও শাসায়।
এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করলেও ব্যবসায়ীদের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উক্ত যুবকদের অফিসে চড়াও হওয়ার ভিডিও ক্লিপ এবং গালিগালাজের অডিও রেকর্ডিং পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার আস–সালাম টাওয়ারের অষ্টম তলায় ইউনিওশন শিপিং লাইন্স লিমিটেডের অফিস রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলাচলকারী মাদার ভ্যাসেলগুলোর স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে এই প্রতিষ্ঠান কাজ করে। অপরদিকে একই অফিসে চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় লাইটারেজ জাহাজ অপারেটর প্রতিষ্ঠান সমতা শিপিংয়ের অফিস। দুটি কোম্পানি একই মালিকানাধীন।
কোম্পানির ডিজিএম আবদুস সাত্তার ডবলমুরিং থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্থানীয় এহসান আহমেদ নামে এক যুবক গতকাল বেলা দেড়টা নাগাদ ১০/১২ জনের একটি দল নিয়ে অফিসে চড়াও হন। তারা কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন মজুমদারকে খুঁজতে থাকেন। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি ধমকি দেন। এতে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়। কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং এমডিকে না পেয়ে যুবকেরা তাদেরকে ভেন্ডরের চিঠি দেয়ার দাবি জানান। কোম্পানির ডিজিএম মালিকের সাথে কথা না বলে তা দেয়া সম্ভব নয় জানালে তাকেও গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে যুবকেরা অফিস ত্যাগ করলেও তাদেরকে ভেন্ডরের কাজ না দিয়ে আগ্রাবাদে কী করে ব্যবসা করে তা দেখে নেবে বলে শাসিয়ে যায়।
থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উক্ত যুবক আগের দিন সন্ধ্যায় ০১৬১৬১৬১৬৫৬ নম্বর থেকে কল করে কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালককে হুমকি দেন এবং গালিগালাজ করেন। এর আগে এহসান গত ২ জানুয়ারি সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ সমতা শিপিংয়ের অফিসে এসে মালিকদের খেঁাঁজ করেছিলেন।
ডবলমুরিং থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা গত রাতে আজাদীকে জানান, ঘটনার ব্যাপারে থানায় একটি জিডি রেকর্ড করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং কল রেকর্ড পর্যালোচনাসহ ঘটনার তদন্ত চলছে। দোষীদের অবশ্যই আইনের মুখোমুখি করা হবে।