বিএনপিকে নিজ দলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ এমপি। এ সময় বিএনপি ও তার মিত্রদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সবসময় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হবার কথা বলেন কিন্তু নিজ দলের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো সব দলের ঐক্য নয়, আগে নিজ দলে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করুন।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতারা নাকি বলেছেন অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যে বিএনপির জন্মটাই অগণতান্ত্রিক, সে আবার অপরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এটি সত্যিই হাস্যকর। তিনি আরো বলেন, আমাদের রাঙ্গুনিয়ায় দেখুন, বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত। কেন্দ্রীয়ভাবেও বিএনপির এক নেতা একটি কথা বলেন, কিছুক্ষণ পর আরেক নেতা আরেকটি কথা বলেন। এইভাবে তারা সব দলের ঐক্যের কথা বলে।
হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের জোটভুক্ত একটি দল আছে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’। অর্থাৎ ঐক্য নেই বলে ঐক্য প্রক্রিয়া চালাতে চাচ্ছেন তারা। সুতরাং বিএনপি ও তার মিত্রদের এ সমস্ত বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো আগে নিজ দলে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করুন। আমরাও চাই আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন এবং আমাদের বস্তুনিষ্ট সমালোচনা করুন।
উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় সভাপতিত্ব করেন সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার। হাছান মাহমুদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। একইসাথে এই করোনাকালেও বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। পাকিস্তানকে আমরা অনেক আগেই ছাড়িয়েছি, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে। আজ থেকে বার বছর আগে যে গ্রাম ছিল, এখন আর সেই গ্রাম নেই। গ্রামের মেঠোপথ হারিয়ে গেছে। মেঠোপথ এখন ইট বিছানো কিংবা পিচ ঢালা পথে রূপান্তরিত হয়েছে। গ্রামে কুঁড়েঘর এখন আর সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। সেখানে হয়েছে টিনের চালা কিংবা পাকা ঘর। তিনি বলেন, বার বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এই বদলে যাওয়া কোনো যাদুর কারণে হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে তিনি।
সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, জামাল উদ্দিন, আবুল কাশেম চিশতি, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম তালুকদার, আকতার হোসেন খাঁন, উত্তর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর চেয়ারম্যান, লোকমানুল হক তালুকদার, ইকবাল হোসেন, মাস্টার আসলাম খাঁন, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, নিজাম উদ্দিন বাদশা, এমরুল করিম রাশেদ, জসিম উদ্দিন তালুকদার, আবু তাহের, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল জব্বার, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, কাউছার নূর লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
