আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ছিলেন রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র

আজিজুল হক নসু | শনিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর যিনি আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত করেছেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারী মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। তিনি একাধারে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক মহলে পরিচিতি করিয়ে দেন। যিনি বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ৭৭ জাতি ব্যবসায়ী সমিতির ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আমি তাঁর সানিধ্যে এসে দীর্ঘ বছর পাশে ছিলাম। আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মত বড় মাপের মহৎ হৃদয়বান জাতীয় নেতার সহচার্য্য লাভের সুযোগ হয়েছে। বিশ্বস্ততার সাথে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁর অভিভাবকত্বে তাঁর সাথে জন সেবামূলক কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাঁকে নিবিড়ভাবে দেখেছি, মিশেছি। সুখ, দুঃখের সঙ্গী হয়েছি। আমি দেখেছি, তাঁর মধ্যে এক নরম প্রকৃতির হৃদয়, মানুষকে ভালবাসার উদার মন-মানসিতকা। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সমস্ত লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসামপ্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্র সৈনিক অর্থ সরবরাহকারী ছিলেন, তিনি স্বাধীনতা উত্তর কালের সেসব বিরল রাজনীতিবিদদের অন্যতম। যিনি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন, রাজনীতি করেছেন নিজের অর্থ ব্যয় করেছেন। একটা মানুষের সঙ্গে চলে যায় গোটা একটি পৃথিবী। কথাটি লিখেছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দ মুখোপাধ্যায়। আসলে সব মানুষই জীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্র গড়ে তোলে আপন আপন ভুবন। আর যার কর্মে কীর্তিতে, মেধায়, মননে, স্নেহ, ভালবাসায় ও সখ্যতায় অন্যন্য স্বাক্ষর রেখে যায়। তারা সারা জীবন ধরে তৈরী করে এক একটি বিচিত্র ও বর্ণিল অনন্য পৃথিবী। অবিনাশী যৌথ স্মৃতির অংশীদার। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চেীধুরী বাবু ছিলেন এমনি এক অসাধারণ মহাপুরুষ। যার সঙ্গে সঙ্গে চলে গেছে বিশাল এক প্রাণবন্ত জগত। তিনি বঙ্গবুন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সংগঠন ও জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসের আখতারুজ্জামান চেীধুরী বাবুর জীবনী থেকে নতুন প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে। জীবনে অনেকবার মন্ত্রীত্বের সুযোগ পেয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী ও বিচক্ষণ রাজনীতির ধারক ছিলেন। চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তিনি চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের অভিভাবক ও ধারক বাহক ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন রাজকীয় এবং বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর অবদান অপরিসীম। যে কোন কঠিন সময়ে দলের জন্য তিনি ছিলেন নিবেদিত এক কর্মী। ক্রমেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের একজন অভিভাবক। তাঁর মৃত্যু চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগকে শুধু অভিভাবকহীন করেনি, দেশের সামগ্রিক রাজনীতিতে একটি শূন্যতা সৃষ্টি করেছে। যদিও তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তবুও তিনি আমাদের অন্তরে চির জাগ্রত। প্রজন্মের অনেক কিছু শেখার আছে।
আমি বাবু ভাইকে আইডল/আদর্শ মনে করি। আখতারুজ্জামান বাবু ও তাঁর পরিবার, আমার কাছে অমূল্য রত্ন। বাবু ভাইয়ের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকীতে ওনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন ওনাকে জান্নাত দান করুক, আমিন।
সহ সভাপতি, আখতারুজ্জামান সেন্টার দোকান মালিক সমিতি

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা টিসিবি ডিলার কল্যাণ সমিতির মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধফের প্রমাণ হলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই খালেদা জিয়া কারাবন্দি : রিজভী