আউটার স্টেডিয়ামের আধুনিকায়নের কাজ শুরু

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৩০ মে, ২০২৩ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের অনেক খেলোয়াড় সৃষ্টির সুতিকাগার আউটার স্টেডিয়াম অবেশেষে আধুনিকায়নের পথে হাঁটছে। এরই মধ্যে আউটার স্টেডিয়ামের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আউটার স্টেডিয়ামকে কিভাবে নতুন রূপে সাজানো যায় সে লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। শুধু তাই আউটার স্টেডিয়ামকে কিভাবে একটি দৃষ্টি নন্দন হিসেবে তৈরি করা যায় তার একটি নকশাও তৈরি করা হয়েছে। এখন সে নকশা মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ... নাছির উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে আউটার স্টেডিয়ামের ঘেরাও দেওয়ার কাজ শুরু করেন। তিনি একটি পিলার পুতে কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় সিজেকেএস অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম এবং কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

এরই মধ্যে লোহার গ্রিলের সীমানা প্রাচীর বাইরে তৈরি করা হচ্ছে। আর সে প্রাচীর এনে আউটার স্টেডিয়ামের তিন পাশে লাগানো হবে। দক্ষিণ পাশে যেহেতু সুইমিং পুলের সীমানা প্রাচীর রয়েছে সেহেতু সে পাশে দেওয়াল দিতে হবে না বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা। তিনি জানান সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা হবে ছয় ফুট। যার নিচের দুই ফুট হবে জমানো। আর উপরের অংশটা হবে গ্রিল। গতকাল থেকে এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন ইট, কংক্রিট আসা শুরু হয়েছে। মালামাল রাখার জন্য আউটার স্টেডিয়ামের দক্ষিণপূর্ব কোণে একটি অস্থায়ী ঘরও নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন আজ থেকে চলবে কাজ। আর এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শেষ করতে লাগতে পারে আড়াই মাসের মত। যেহেতু সামনে কোরবানির ঈদ রয়েছে। সে সময়টা কাজ চালিয়ে নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাই একটু সময় বেশি লাগবে। এরই মধ্যে আউটার স্টেডিয়াম নিয়ে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন সীমানা প্রাচীরের কাজটা শুরু হয়ে গেলে এরপর বাকি কাজ যেমন মাঠে মাটি ভরাট, মাঠ সবুজ করার কাজ শুরু করা, ওয়াকওয়ে নির্মাণের কাজ এবং সবুজায়নের কাজ শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে। তবে আউটার স্টেডিয়াম নিয়ে আরো একটি ভাল খবর পাওয়া গেছে গতকাল। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা চেষ্টা করছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের যে দুটি ফ্লাড লাইটের টাওয়ার রয়েছে আউটার স্টেডিয়ামে সেগুলোকে ছোট টাওয়ারে নিয়ে আসতে। আর সে জন্য ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সাথে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের কথা হয়েছে বলেও জানা গেছে। আর সেটা যদি হয় তাহলে আউটার স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে আরো অন্তত দশ ফুট জায়গা বাড়বে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এই আউটার স্টেডিয়ামকে আধুনিকায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। আর সে ধারাবাহিকতায় তিনি আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। এরপর একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহন করে আউটার স্টেডিয়ামকে আবার পুরানো রূপে ফিরে আনার চেষ্টা করছেন। তার এই পদক্ষেপ চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন সহ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এখন পরিকল্পনাটি বাস্তাবে রূপ পাওয়ার অপেক্ষায় চট্টগ্রামের মানুষ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিরিঙ্গী বাজারে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৪.১৫ কোটি টাকা