আইফোনের স্বর্ণালী অধ্যায় কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

| রবিবার , ৪ জুন, ২০২৩ at ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ

আইফোন এক সময় জাদুকরী এক ডিভাইস ছিল। সন্দেহ নেই, এখনও এটি জনপ্রিয় ফোন তবে সেই সোনালী দিন সম্ভবত ফুরিয়েছে। অনেকেই আইফোনের মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আমরা আইফোনের বেশ কিছু স্বর্ণোজ্জ্বল মুহূর্ত দেখেছি, আমরা এর জোয়ার শেষে কয়েকবার ভাটার সময়ও দেখেছি। এমন কথাও শুনেছি যে, অন্যান্য কোম্পানি বাজারে অ্যাপলের প্রভাবে ভাগ বসাবে। ওয়্যারএবল, এআর বা ভিআর বা এঙআর বা অন্য কোনো নতুন প্রযুক্তি এসে বাজার ভাসিয়ে দেবে। এভাবেই আইফোন সম্পর্কে নিজেদের অনুমান প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ। তবুও, দেড় দশক ধরে আইফোন ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স জগতের সবচেয়ে সফল পণ্য। এ বছরের প্রথম তিন মাসেই এটি পাঁচ হাজার একশ কোটি ডলারের ব্যবসা এনে দিয়েছে অ্যাপলকে। ন্যায্য কথা বলতে গেলে বলতে হয়, আইফোনের যা করার কথা ছিল, সেটি করা শেষউল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। খবর বিডিনিউজের। তবে হ্যাঁ, এটি মারা যায়নি। খুব শিগগির এর আয়ুও ফুরাবে না। তবে, এটি সম্ভবত এমন একটি পণ্য যার আর তেমন কিছু করারও নেই। সেটা অবশ্য সার্বিকভাবে স্মার্টফোনের বেলাতেই বলা যায়। কোটি কোটি মানুষের পকেটে টাচস্ক্রিন রয়েছে। এবং বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্যই এগুলো এখন আটপৌরে টুল কেবল। লোকজন সম্ভবত স্মার্টফোনে বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তনও চান না। হ্যাঁ, ফোল্ডেবল ফোন আসছে বটে। আর সেটার জন্য বাজারে একটা আলোড়নও তৈরি হয়েছে। তবে, এর জন্য দম বন্ধ করে বসে থাকার কিছু নেই। তাহলে গ্রাহকরা চান কী? উত্তরও রয়েছে প্রতিবেদনে। বেশিরভাগ গ্রাহক চান তাদের ফোনটির ব্যাটারি যেন আরেকটু দীর্ঘস্থায়ী হয়, ফোনটি যেন খানিকটা দ্রুত চলে আর এর দাম যেন এখনকার চেয়ে আরেকটু কম হয়। আর বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ফোনটি নষ্ট হওয়ার আগে এটি বদলে ফেলার কথা চিন্তাও করেন না।

(এটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের ব্যবহারকারীদের স্বভাব মাথায় রেখে বলা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেন পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত: জেলেনস্কি
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ব বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ২ বছরে সর্বনিম্ন : এফএও