অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকর হয়ে ওঠা ঠেকাতে গবেষণা

| বুধবার , ২০ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় অ্যান্টিবায়োটিকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবার বিষয়টি নিয়ে কাজ করার জন্য একটি নতুন গবেষণা কেন্দ্র খুলেছে। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যাচ্ছে, তাতে বিজ্ঞানীদের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমে বাড়ছে।
অক্সফোর্ড বলছে, বিশ্বে স্বাস্থ্য বিষয়ে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিগুলোর একটি হলো অ্যান্টিবায়োটিক ক্রমশ অকার্যকর হয়ে পড়া। তাদের হিসাব অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে পৃথিবীতে ইতোমধ্যে মৃত্যু হচ্ছে ১৫ লাখ মানুষের। এই গবেষণায় অর্থায়নের জন্য ১০ কোটি পাউন্ড অর্থ দান করেছে ইনিওস কেমিক্যাল কোম্পানি। খবর বিবিসি বাংলার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর লুইস রিচার্ডসন বলেন, কোভিড মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে, একটা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে জেনেও তাকে উপেক্ষা করলে তার জন্য কী ধরনের চড়া মূল্য দিতে হয়।
বিপদ বাড়ছে : অ্যান্টিবায়োটিকের অতি ব্যবহার এবং অপব্যবহারের ফলে রোগজীবাণুর মধ্যে এই ওষুধ প্রতিরোধের শক্তি যেভাবে বেড়ে গেছে তা মোকাবেলা করতে ইনিওস অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউট নামের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন ৫০ জন গবেষক। বিশ্ববিদ্যালয় হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এখনই এই সমস্যা মোকাবেলার উদ্যোগ না নিলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছর স্বাভাবিকের ওপর একশ কোটি বাড়তি মৃত্যু ঘটবে।
নতুন গবেষণা কেন্দ্রের উপদেষ্টা শল্য চিকিৎসক ডেভিড সুইটম্যান বলেন, নিয়মিত রুটিন অস্ত্রোপচার এবং যেসব চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার অব্যর্থ বলে ধরে নেয়া হয়, কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক না থাকলে সেগুলো মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে। অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধের কারণে যেভাবে বিপদ বাড়ছে, তা নিয়ে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কম কথাবার্তা বলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই ঝুঁকি কাটিয়ে অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আমাদের হাতে এলেই এখন খুবই অল্প সময় রয়েছে। যেটা অভাবনীয় বলে ভাবছি সেটা কিন্তু অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠতে বেশি দেরি নেই।
অধ্যাপক রিচার্ডসন বলেন, রোগজীবাণু যেভাবে অ্যান্টিবায়োটিককে অকার্যকর করে দেবার ক্ষমতা গড়ে তুলেছে তাতে এখুনি পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এই গবেষণা এই মুহূর্তে ব্যয়বহুল মনে হতে পারে, কিন্তু এটা না করলে তার যে মূল্য দিতে হবে এটা তার তুলনায় কিছুই নয়।
মূল্যবান গবেষণার গুরুত্ব : অধ্যাপক রিচার্ডসন বলেন, আমরা পরিস্থিতি বিচার করে এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এত দ্রুত যে কোভিডের টিকা তৈরি করতে পেরেছি, তার কারণ আমরা গত বিশ বছর ধরে টিকার ওপর নানা মূল্যবান গবেষণার কাজ করেছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের চার পৌরসভায় ভোট ২৮ ফেব্রুয়ারি
পরবর্তী নিবন্ধরাউজানে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র