অহংকার নয়, বিশাল মন দরকার

শরণংকর বড়ুয়া | মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

এখন নেই মানুষের মাঝে প্রীতি ভালোবাসা, আন্তরিকতা। আপন জনেরা একে অপরকে সন্দেহ করে। ছদ্মবেশে কৌশলে পরাস্ত করার চেতনায় ব্যস্ত। শুধুই সংকীর্ণতা, মন মানসিকতার পতন। কিছু হারানোর চেষ্টায় ব্যর্থ হলে স্বার্থ উদ্ধার না হলে হিংসা ক্রোধে অন্যের সুখের সংসারে আগুন দেয়। শিক্ষার আদর্শকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে। মানুষ মানুষের জন্যএই অসাধারণ অমূল্যবাণী নিছক একজন লেখকের আবেগের কথা। জ্ঞানীরা অর্থরে কাছে তাবেদার। হঠাৎ পয়সাওয়ালারা অর্থের বিনিময়ে প্রায় অনুষ্ঠানে বা সভায় সম্মানিত হতে দেখা যায়। তাদের মনে তখন বেপরোয়া ভূমিকা কাজ করে। এই সমাজ এবং মানুষের মনের মাঝে কুসংস্কার নোঙর করেছে। অর্থ এখন সকল ক্ষেেত্ের এগিয়ে। লজ্জাহীন হৃদয়হীন জঘণ্য কুৎসিত আলোহীন আঁধারে বয়ে যাওয়া জীবন আজ গতিহীন। সভ্যতা, সততা, মানবিকতা নিক্ষেপ হতে চলেছে অনন্তনিশিপুরে। দেশ যত উন্নত হচ্ছে, যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়ে চলেছে। যতই মডার্ন শিক্ষা গ্রহণ করছে, সর্বক্ষেত্রে যতই আধুনিকায়ন হচ্ছে ততই বিবেক বুদ্ধি লোভ পাচ্ছে। ঘুণে ধরা সমাজে স্বার্থপর মানুষগুলোর রাহুগ্রস্ত হয়ে সভ্যতার ধ্যান ধারণা কলংকের ছায়াবৃত্ত আজ। আমাদের সমাজে কিছু মানুষের অকারণে সব বিষয়ে কেন এত বাড়াবাড়ি। কিসের এত আত্মঅহংকার। কত দিন থাকবে এই দাম্ভিকতা দু’দিন না যেতেই শেষ নিঃশ্বাসে সবই অন্ধকার। যে কোনও সময় সকলকে ছেড়ে এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যেতে হবে। এটাই সত্য, এটাই বাস্তব। এই সত্যের চেয়ে আর কোনও সত্য পৃথিবীতে নেই। জীবনটার সময় খুবই সামান্য, দিন দিন সময়ের পথে বয়ে চলেছে নদীর স্রোতের ন্যায়। তাইতো ভাবতে হবে নিজের জন্য, প্রত্যেকের জন্য। সেই মানবিকবোধ নিজেকেই জাগিয়ে তুলতে হবে। চারিদিকে অসংখ্য অজানাকে জানার ব্যাকুলতা থাকতে হবে। ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে এগিয়ে গিয়ে মহান মনুষত্ব জীবনকে সার্থক করতে পারলেই কর্মের যে স্বাদ তা আনন্দের সাথে উপভোগ করা যায়। তৃপ্তি পাওয়া যায় মানসিক ভাবে। ভালোবাসার হৃদয় যেখানে বিশালতা, উদার প্রখর সেখানে জীবনের ভাবনাটা কখনই ক্লান্তিতে বিচলিত হয় না। যে অন্যের দুঃখে দুঃখী হয়ে অন্যের বেদনায় ব্যতীত হয় সে ব্যক্তিই জীবনে সফলতা ও সুখের স্বাদ গ্রহণ করে। অর্থ উপার্জনের জন্য ছেলে মেয়েরা বিদেশ পাড়ি দিচ্ছে। ইদানীং আবার বিদেশ ডিগ্রীধারী হওয়ার জন্য হিড়িক পড়ে গেছে। খুব ভালো কথা। বিভিন্ন দেশে লেখা পড়া করছে অতি জ্ঞানী হওয়ার জন্য। জ্ঞানী হওয়া ভালো তবে এত জ্ঞানী হয়ে যদি ২১শে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস সম্মন্ধে না জানে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমালিক শ্রমিক সম্পর্ক
পরবর্তী নিবন্ধআগামী ১৪৩২-এর শোভাযাত্রা হোক গ্লোবাল ইউনিটির ওপর