অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল বলে আমরা বিশ্বের বুকে স্বীকৃতি পেয়েছি

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সভায় জেলা প্রশাসক

| বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ বা বাংলা নামক ভূখন্ডটি একটি সমৃদ্ধ বদ্বীপ হিসেবে বিশ্বের বুকে সুপ্রাচীনকাল থেকে প্রতিষ্ঠিত ছিল। জাতির পিতা নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেই তৎকালে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৯৯ শতাংশ অর্থাৎ ১৬৭টি আসন লাভ করে। তখন ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টু তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অনীহা প্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়েছিল বলেই আমরা বিশ্বের বুকে বিভিন্ন দেশ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছি। জাতির পিতাকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, একইসাথে জাতীয় চার নেতাকে উপরাস্ট্রপতি করা হয়। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে যুদ্ধ করে একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীকে হারিয়ে দেওয়া এবং তার পেছনে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি ছিল। কিন্তু স্বাধীনতাকামী, মুক্তিবাহিনী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন অকাতরে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এজন্য বিশ্বের বুকে ১৭ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তিনি গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ৯ মাসের মত এত কম সময়ে যুদ্ধ করে কোন দেশ স্বাধীন করতে পারেনি। সর্বস্তরের জনসাধারণ চেয়েছিল বলেই জাতির পিতার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আমাদেরকে আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন,ভেদাভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট দেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করবোএটাই হোক আজকের ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের অঙ্গীকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল একটি অনন্য দিন। একাত্তরের এইদিনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরোয়ার কামাল, মহানগর ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ ও জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে আগুনে ৪ দোকান পুড়ে ছাই