অলসতা এক প্রকার ব্যাধি

অভিরাজ নাথ | শুক্রবার , ২৭ মে, ২০২২ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

মানবজীবনের একটি বাজে স্বভাব হলো অলসতা। দেহের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি যেমন মানুষকে পঙ্গু করে দেয় তেমনই অলসতাও মানুষকে শ্রমবিমুখ করে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। অলসতা মানে হলো শ্রমবিমুখতা বা কাজ করার অনীহা। এটি ভয়ানক ব্যাধির মতোই সংক্রামক ও ধ্বংসকারী। অলস ব্যক্তি জীবনে প্রতিষ্ঠা পায় না। যে পরিশ্রম করে তার স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। পক্ষান্তরে, যে কাজ করে না অর্থাৎ যে অলস তার স্বাস্থ্যও দিনদিন খারাপ হয়ে যায়।

যে ব্যক্তি কাজ করে সে কাজ করার পর যে অবসরটুকু পায় তার মধ্যে যে আনন্দ সে অনুভব করে অলস ব্যক্তি কখনো সে আনন্দ অনুভব করতে পারে না। আসলে অলসতা মানুষের দেহ ও মনে জড়তা আনে। ব্যাধিগ্রস্ত মানুষ যেমন অপরের সাহায্য ছাড়া চলতে পারে না, তেমনই অলস ব্যক্তিকেও পরগাছার মতো অপরের দয়ার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকতে হয়। দেশ ও জাতির কোনো মঙ্গল সাধন তো তারা করতেই পারে না বরং দেশ ও জাতির বোঝা হয়ে অবহেলিত জীবনযাপন করে। কথায় আছে, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের আস্তানা।

অলস ও অকর্মণ্য ব্যক্তিরাই সমাজে সকল অনাচার ও কুকর্মের উদ্ভাবক। ব্যাধিগ্রস্ত মানুষ যেমন সমাজে রোগবিস্তারে সহায়তা করে, তেমনই অলস ও অকর্মণ্য ব্যক্তিমাত্রই নানা কুচিন্তা ও কুকর্ম দ্বারা সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও অশান্তি ডেকে আনে। তবে কাজের ফাঁকে বিশ্রাম অবশ্যই জরুরি। বিশ্রাম আর আলস্য এক কথা নয়। বিশ্রাম কাজেরই একটা অংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেওয়ানহাট ব্রিজের নিচে ময়লা-আবর্জনার অপসারণ চাই
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের যাপিত জীবন