অরণ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

ইউএসটিসির অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ।। ‘কার্বন ফুটপ্রিন্টের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট সম্পর্কেও’

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে অক্সিজেনের মতো প্রাণবায়ুতে পৃথিবী ভরিয়ে দিতে পারে একমাত্র গাছ। তাই প্রত্যেক মাসে বা সব অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা এবং অরণ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল সোমবার নগরীর হোটেল র‌্যাডিসন ব্লু’র মেজবান হলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ক্যাম্পাসে ২০২৫ সালের মধ্যে জিরো কার্বন স্ট্যাটাস অর্জনের লক্ষ্য ঘোষণা এবং নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্বোধন উপলক্ষে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাং (ইউএসটিসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

স্বাগত বক্তব্য দেন, ইউএসটিসির ডাইরেক্টর (বিবিএমএইচ) ডা. শেখ মাহসিদ নুর। সূচনা বক্তব্য রাখেন ইউএসটিসির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, ইউএসটিসির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আহমেদ ইফতেখারুল ইসলাম, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জাক, সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম। সমাপনী বক্তব্য দেন আইএএইচএস’র অধ্যক্ষ প্রফেসর এ এম এম এহতেশামুল হক।

বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ইউএসটিসি ভিশন ২০৪১-এর সাথে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে চায়। মেডিসিন, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, বায়োটেকনোলজি এবং লাইফ সায়েন্স, বিজনেস স্টাডিজ এবং হিউম্যানিটিজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি শিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ বছরেরও অধিক একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বসহ চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্দোলন জলবায়ু ও পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে এবং এসডিজি লক্ষ্য পূরণে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতি ও জাতির উন্নয়নে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমরা আশাবাদী।

কার্বন ফুটপ্রিন্টের পাশাপাশি ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট সম্পর্কেও সচেতন হতে হবে মন্তব্য করে তথ্য মন্ত্রী বলেন, হাইপার-কানেক্টেড ডিজিটাল লাইফ একটা সমান্তরাল জগৎ তৈরি করেছে। নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে এবং সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে পরিবেশবান্ধব জীবনের কোনো বিকল্প নেই। টেকনোলজির ব্যবহারে আমরা যত দ্রুত এগোচ্ছি তত দ্রুত সমাপ্তি রেখার দিকে পৌঁছে যাচ্ছি। তাই কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে যে পদচিহ্ন দিকনির্দেশ করে আলোর দিকে, সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করাই এখন একমাত্র উপায়।

ইউএসটিসির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আহমেদ ইফতেখারুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইউএসটিসি ক্যাম্পাসকে কার্বন-শূন্যকরণে প্রণোদিত করাকে তথ্যমন্ত্রী দায়িত্ব মনে করেছেন। ইউএসটিসিও নিরবচ্ছিন্ন সমীক্ষা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অনুধাবন করেছে যে, বর্তমান বাংলাদেশকে অবারিতভাবে সবুজ ও ঋদ্ধ জীবনের সন্ধানে মহাদেশে-মহাদেশে বিস্তৃত হয়ে যেতে হবে। বিজ্ঞান ও সভ্যতার জন্য ইউএসটিসির সাধনায় তথ্যমন্ত্রীর এই সহযোগিতার কথা অমাদের মনে থাকবে।

হাইড্রোকার্বন জ্বালানির সীমিত সরবরাহ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বর্তমানে নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা বাড়ছে উল্লেখ করে উপাচার্য ইউএসটিসির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম সূচনা বক্তব্যে বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ইউএসটিসি ক্যাম্পাসের জিরো কার্বন স্ট্যাটাসের লক্ষ্য হবে ইউএসটিসি ক্যাম্পাসকে স্বনির্ভর এবং গ্রিড বিদ্যুত থেকে স্বাধীন করার জন্য সৌর, বায়ু এবং অন্যান্য পুননবায়নযোগ্য শক্তি তৈরি করা।

অনুষ্ঠানের পর ‘রেস টু জিরো কার্বন’ অব ইউএসটিসি-২০২৫ প্রোগ্রামের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন দেশের সোলার প্যানেল প্রস্তুতকারী বৃহৎ এই প্রতিষ্ঠান ইউএসটিসিকে সার্বিক সহযোগিতা করে ২০২৫ সালের মধ্যে ‘রেস টু জিরো কার্বন’ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ
পরবর্তী নিবন্ধইএফডি মেশিনে ভ্যাট আদায়ে গতি