ইএফডি মেশিনে ভ্যাট আদায়ে গতি

চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট আরো ১ হাজার বসানোর প্রক্রিয়া চলছে

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

ভ্যাট আদায়ে গতিশীলতা বাড়াতে দুই বছর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর কাজ শুরু করে। ফলে কোনো ক্রেতা পণ্য কেনা কিংবা সেবা গ্রহণের টাকা পরিশোধ করার সাথে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আলাদা হয়ে যাচ্ছে। ইএফডি মেশিন এনবিআরের সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকায় ভ্যাট ফাঁকি দেয়া সম্ভব নয়। ফলে ইএফডিতে বাড়ছে ভ্যাট আদায়। ভ্যাট কর্মকর্তারা বলছেন, ইএফডিতে ভ্যাট আদায় খুব সহজ। তবে এ ক্ষেত্রে ক্রেতাদেরও সচেতন হতে হবে। তারা যেন অবশ্যই ইএফডির চালানটি বুঝে নেন। ইএফডির চালানের মধ্যে প্রতি মাসে লটারির মাধ্যমে ১০১টি পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার ভ্যাট আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৫ শতাংশের কাছাকাছি। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যখনই ভ্যাট দিই, আমাদের সন্দেহ করা হয়।

বলা হয়, আমরা ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছি। এই মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা হয়ে যাবে, এতে সন্দেহ দূর হবে। তবে সবাইকে ইএফডি মেশিনের আওতায় আনতে হবে। একটি শপিং সেন্টারের অর্ধেক দোকানে যদি মেশিনের আওতায় আনা হয় আর বাকি অর্ধেকে যদি না দেয়া হয়, তবে ক্রেতারা স্বাভাবিকভাবে যে দোকানে ইএফডি মেশিন নাই সেখানেই যাবে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনাটের কমিশনার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬৩৯টি ইএফডি বসানো হয়েছে। আরো ১ হাজার ইএফডি মেশিন বসানো কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ইএফডি মেশিন বাধ্যতামূলক এমন ২৫ ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ফাস্ট ফুডের দোকান, ডেকোরেটার্স ও ক্যাটারার্স, মোটরগাড়ির গ্যারেজ, ওয়ার্কশপ ও ডকইয়ার্ড, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ছাপাখানা ও বাঁধাই সংস্থা, সামাজিক ও খেলাধূলাবিষয়ক ক্লাব, তৈরি পোশাকের দোকান, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি-সামগ্রীর বিক্রয়কেন্দ্র, শপিং সেন্টার ও শপিং মলের সব সেবা প্রদানকারী ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর ও সুপারশপ, বড় ও মাঝারি ব্যবসা (পাইকারি ও খুচরা) প্রতিষ্ঠান, যান্ত্রিক লন্ড্রি, সিনেমা হল এবং সিকিউরিটি সেবা, কমিউনিটি সেন্টার, মিষ্টান্ন ভান্ডার, স্বর্ণকার ও রৌপ্যকার এবং সোনা-রুপার দোকানদার এবং স্বর্ণ পাকাকারী, আসবাব বিক্রয় কেন্দ্র, কুরিয়ার ও এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, বিউটি পার্লার, হেলথ ক্লাব ও ফিটনেস সেন্টার এবং কোচিং সেন্টার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅরণ্য সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধচার ভিতে প্রধানমন্ত্রীর ‘স্মার্ট বাংলাদেশের’ রূপরেখা