দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে লেটেস্ট প্রযুক্তির ৪৩৮ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে রাউজানে। আধুনিক প্রযুক্তির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে একদিকে যেমন গ্যাস সাশ্রয় হবে তেমনি অন্যদিকে উৎপাদন খরচও কম পড়বে। আগের পুরনো ৪২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জায়গায় নির্মিত হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
গতকাল বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে নতুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। প্রকল্পের ঠিকাদারও নিয়োগ হয়ে গেছে। এখন চুক্তি স্বাক্ষর বাকি। ৪৩৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপনের দায়িত্ব পেয়েছে চীনের সেপকো-থ্রি ইলেক্ট্রনিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশনস কোম্পানি লিমিটেড। গ্যাসভিত্তিক এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ১ টাকা ৩৮ পয়সা।
২ হাজার ৮৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পে মধ্যে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে ১৮শ’ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে ২শ’ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুন্সী বশির আহমেদ।
তিনি আজাদীকে বলেন, রাউজানে ৪৩৮ মেগাওয়াটের নতুন যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হবে সেটি হবে দেশের সর্বশেষ লেটেস্ট প্রযুক্তির বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি দেশের জন্য উন্নত প্রযুক্তির মডেল হবে। ইউরোপ এবং আমেরিকার মোস্ট মডার্ণ টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সমস্ত যন্ত্রপাতি সিমেন্স কোম্পানির। আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে। নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ হলে পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি খুলে ফেলা হবে। সেটি আর ব্যবহার করা যাবে না।
রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিন ভূইয়া আজাদীকে জানান, রাউজানে ২১০ মেগাওয়াট করে ২টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৪২০ মেগওয়াট। এই ইউনিট দুটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। পুরনো ইউনিট দুটির পাশেই নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হবে। পুরো দুটি ইউনিটের গ্যাস দিয়ে নতুন একটি ৪৩৮ মেগাওয়াটের ইউনিট চলবে।