বিএনপি জামায়াতের হরতাল–অবরোধে ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে নগরীর ১৯টি স্পটে সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দল থেকে যাকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিবে তাকে জয়ী করার জন্য দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বুুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
একই ভাবে জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের কাছে তুলে ধরার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় জনগণের শান্তি–শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকাসহ বর্তমান সরকারের কি কি সুফল জনগণ ভোগ করছেন তা ঘরে ঘরে গিয়ে বিনয়ের সাথে তুলে ধরার জন্য কঠোরভাবে বলা হয়েছে। নগরীর কাজির দেউড়ীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের বর্ধিত সভায় বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এসব নির্দেশনা দেন।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিএনপি–জামায়াতের হরতাল–অবরোধের নামে যে কোন ধ্বংসাত্বক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৬টি স্পটে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করে আসলেও আজকের পর থেকে ১৯টি স্পটে মহানগর আওয়া লীগের পক্ষ থেকে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করা সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৯টি স্পটে নতুন করে মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া হয়েছে।
স্পট গুলো হলো–৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে কাটগড় মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য কামরুল ইসলাম ভুলুকে, ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড ও ইপিজেড থানার সল্টগোলা ক্রসিং মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রোটারিয়ান হাজী মো. ইলিয়াছ ও গোলাম মো. চৌধুরীকে। ৩৬ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড ও বন্দর থানার নিমতলা মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক চসিক প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন ও হাজী মো. জহুর কোম্পানীকে। ২৭, ২৮ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ডবলমুরিং থানার বাদামতলী মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু ও নজরুল ইসলাম বাহাদুরকে। নগরীর ১২, ২৫, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ও হালিশহর থানার নয়াবাজার মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও নগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম উদ্দিন চৌধুরী ও হাজী মো. হোসেনকে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক, ১১ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং পাহাড়তলী থানার একেখান মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবসার মিয়া ও মোরশেদ আকতার চৌধুরীকে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও আকবার শাহ থানার সিটি গেইট মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে। ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং খুলশী থানার ওয়াসা মোড় ও ইস্পাহানীর মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. সুনীল সরকার ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম এবং নগর আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল লতিফ টিপুকে। নগরীর ৮ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড ও পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আাওয়ামী লীগের আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, দিদারুল আলম চৌধুরী, সৈয়দ আমিনুল হক, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার ও বখতিয়ার উদ্দিন খানকে। নগরীর ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপিকে। নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামাল বাজার, কাপ্তাই রাস্তার মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, নগর আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জোবাইরা নার্গিস খান ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহেরকে। ২, ৩, ৭ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং বায়েজিদ থানার আঙিজেন মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও মহব্বত আলী খানকে।
১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমান বাজার মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী শফিউল আজিম ও জাফর আলমকে। নগরীর ১৬ নম্বর ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ও চকবাজার থানার মতি টাওয়ার মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত ও কাউন্সিলর শহীদুল আলমকে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও বাকলিয়া থানার বাকলিয়া এঙেস রোডের মোড়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও আহমদ ইলিয়াছকে। নগরীর ১৯ ও ৩৫ নম্বর এবং বাকলিয়ার নতুন ব্রিজ এলাকায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের ও নুরুল আমিন শান্তি ও ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কিষান চৌধুরীকে। নগরীর ২০ নম্বর ২১, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এবং কোতোয়ালী থানার আন্দরকিল্লা মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চন্দন ধর, জহরলাল হাজারী ও আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদকে। নগরীর ২২, ২৯, ৩০, ৩১, ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং সদরঘাট থানার দারুল ফজল মার্কেট চত্বরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সিডিএর চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক ও মশিউর রহমান চৌধুরীকে। নগরীর ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানহাট মোড়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দোস্ত মোহাম্মদ ও কাউন্সিলর মো. জাভেদকে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী সভায় সভাপতিত্ব করেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. সুনীল কুমার সরকার, অ্যাড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলহাজ্ব জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফর আলী, শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর প্রমুখ।